শিরোনাম
৩০ জুলাই, ২০১৯ ১৮:৩৪

ঠাকুরগাঁওয়ে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ৬

আব্দুল লতিফ লিটু, ঠাকুরগাঁও:

ঠাকুরগাঁওয়ে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ৬

ঢাকার পরে এবারে ঠাকুরগাঁওয়েও ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু রোগ। গত ২ দিনে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৬ জন রোগী। আক্রান্ত রোগীর বেশিরভাগই ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে এসেছেন।

তবে সদর হাসপাতালে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা নিরীক্ষার কোন ব্যবস্থা না থাকায় বাইরেই করতে হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা। অপরদিকে আতঙ্কে রয়েছেন হাসপাতালে ভর্তি থাকা অন্যান্য রোগীরাও।

মঙ্গলবার দুপুরে বিষটি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম।

হাসপাতালে তথ্য মতে, গত ২ দিনে এখন পর্যন্ত ৬ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। তবে এদের মধ্যে ৩ জন রোগীর অবস্থার উন্নতি হয়েছে। কিন্তু এখনো আশংকাজনক চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে আরো তিনজন।

ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত চিকিৎসাধীন রোগীরা হলেন, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার উত্তর বঠিনা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে সুমি আক্তার (২৪), পীরগঞ্জ উপজেলার ভবেশ রায়ের ছেলে পোশাক শ্রমিক স্বপন রায় (২১), পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার রাধানগর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে পোশাক শ্রমিক পাইলট (২০)। 

চিকিৎসা নিয়ে আরোগ্য হওয়া রোগীরা হলেন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বামুনিয়া গ্রামের দমিজুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম (১৯), সদর উপজেলার ফকদনপুর গ্রামের রতিশ বর্মনের ছেলে শহর বর্মন (১৯) ও দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ এলাকার খাইরুল ইসলামের ছেলে রুবেল (৩০)। 

ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সুমি আক্তারের বাবা সিরাজুল ইসলাম বলেন, তার মেয়ে ঢাকার পান্থপথ এলাকায় থাকতেন। হঠাৎ ১৮ জুলাই শরীরে প্রচন্ড জ্বর অনুভব করলে পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারে সে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে। পরে তাকে গ্রামে নিয়ে আসা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ২৯ জুলাই ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মেয়েকে। 

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত স্বপন রায়ের ভাই বকুল রায় জানান, ঢাকায় কাজ করতেন তার ভাই স্বপন। হঠাৎ করেই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয় ছোট ভাই। পরে তাকে বাসায় নিয়ে আসার পর ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু এখানে ডেঙ্গু সনাক্তকরণের কোন প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। তাই রোগী ও তাদের স্বজনদের বাইরে থেকে গিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। যদি এই হাসপাতালে এসব ব্যবস্থা থাকতো তাহলে হয়তো এতো সমস্যা হতো না।

অপরদিকে চিকিৎসা করতে আসা একাধিক রোগী ও তাদের স্বজনরা রয়েছেন আকঙ্কে। 

আরিক হোসেন নামের এক রোগী জানান, আমি এসেছি আমার বাবাকে নিয়ে এখানে। শুনেছি এই রোগীদের যদি কোন মশা কামড় দেয় আর সেই মশা যদি আমাদের অন্য কাউকে কামড় দেয় তাহলে আমাদেরও ডেঙ্গু হবে। তাই হাসপাতালে কৃর্তপক্ষকে অনুরোধ যাতে করে এই ডেঙ্গু রোগীদের একটু ভালো করে দেখে শুনে রাখেন।

ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ৬ জন ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা চলছে। এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। অবশিষ্ট ৩ জনের অবস্থা আশংকাজনক।

হাসপাতালে পরীক্ষা নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি না থাকার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, কোন ডেঙ্গু রোগীর পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সরকারি ফি'র অতিরিক্ত টাকা কেউ যেন না নেয়, সে জন্য জেলা শহরের প্যাথলজি এবং ক্লিনিক মালিকদের সঙ্গে সভা করা হয়েছে।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর