৩১ জুলাই, ২০১৯ ১৭:০০

চুয়াডাঙ্গায় নতুন ৪ ডেঙ্গু রোগীসহ ১৩ জন ভর্তি

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গায় নতুন ৪ ডেঙ্গু রোগীসহ ১৩ জন ভর্তি

প্রতিদিনই নতুন নতুন ডেঙ্গু রোগী আসছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন চারজন নতুন ডেঙ্গু রোগী। 

হাসপাতালে আসা সব ডেঙ্গু রোগীই ঢাকা থেকে এসে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। এ নিয়ে বুধবার পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ১৩ জন ডেঙ্গু রোগী।

সদর হাসাপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি ছিল ৯ রোগী। ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তদের জন্য হাসপাতালে ডেঙ্গু জোন খোলা হয়েছে। সেখানে আলাদা বেডে তাদের রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ১২টি বিছানা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাতে মশারি দিয়ে ঘিরে রাখা হচ্ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের।
 
রোগীর স্বজনরা জানান, ডেঙ্গু রোগীদের নির্দিষ্ট একটি কক্ষে রাখা হয়েছে। প্রতি রোগীকে আলাদা আলাদা মশারির ভেতরে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

বুধবার দুপুর পর্যন্ত সদর হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা হলেন, জীবননগরের কাশিপুর গ্রামের নাজনিন সুলতানা (৩০), চুয়াডাঙ্গার সিনেমা হল পাড়ার শিরিন আক্তার (৫০), মেহেরপুরের বারাদি মোমিনপুরের তারিক হাসান (২১), চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দীননাথপুর গ্রামের সেলিম হোসেন (৪০), একই গ্রামের মোহাম্মদ আকাশ (১৯), চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বোয়ালমারি গ্রামের তরিকুল ইসলাম (২০), আলমডাঙ্গার চিৎলা গ্রামের জুরাইন (২১), চুয়াডাঙ্গার গুলশানপাড়ার গোলাম হোসেন (৬৩), দামুড়হুদার মিঠু হোসেন (৪০), সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ গ্রামের নয়ন হোসেন (১৮), দামুড়হুদার জয়রামপুর গ্রামের আল আমিন (৩০), দামুড়হুদার কুতুবপুর গ্রামের সালমা খাতুন (৩২) ও দামুড়হুদার বিষ্ণপুর গ্রামের ইসমত আরা (৪০)। 

রোগীর স্বজনরা জানান, কিছু ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। বড় ধরনের কোনো খরচ হচ্ছে না। পরীক্ষা করা হচ্ছে বিনাখরচে হাসপাতালেই। প্রথম দিকে যারা ভর্তি হয়েছিলেন তাদের কেউ কেউ বাইরে থেকে ৪৫০ বা ৫০০ টাকা খরচ করে পরীক্ষা করে নিয়েছিলেন। 

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামীম কবির জানান, ডেঙ্গু রোগীদের প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হাসপাতাল থেকে হচ্ছে বিনাখরচে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কিছু রোগীর দু-একটি পরীক্ষা বাইরে থেকে করাতে হচ্ছে। সচেতন অনেকেই নিজ খরচে আগেই বাইরে থেকে ডেঙ্গু কি না তা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে হাসপাতালে আসছেন। হাসপাতালে আসার পর ওষুধ ও স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। 


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর