১ আগস্ট, ২০১৯ ১১:৩৩

বরিশাল শেবাচিমে নতুন রোগী ভর্তি ৩৩, প্রয়োজনীয় ওষুধ মিলছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল শেবাচিমে নতুন রোগী ভর্তি ৩৩, প্রয়োজনীয় ওষুধ মিলছে না

বরিশালে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি হওয়া ৩৩ জনসহ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭৯ জন। 

সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড, বিনামূল্যে ওষুধ এবং প্রতীকি মূল্যে রোগ পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও শেরে-ই বাংলা মেডিকেলে ডেঙ্গু রোগীদের কারোর স্থান হয়েছে ওয়ার্ডের মেঝেতে আবার কারোর ঠাঁই হয়েছে বারান্দায়। ওষুধ বলতে প্যারাসিট্যামল আর ওমেপ্রাজল। চিকিৎসাধীন রোগীর গ্লুকোজ-স্যালাইনও কিনতে হয় বাইরের ফার্মেসী থেকে। এছাড়া হাসপাতালের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ভরসা নেই ভর্তি হওয়া রোগীদের। তাই বাইরের ক্লিনিক আর ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে সরকার নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে রোগ পরীক্ষায় আগ্রহ রোগী ও তাদের স্বজনদের।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকীর হোসেন ডেঙ্গু রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ওষুধসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেয়ার কথা বললেও বাস্তবতা ভিন্ন। এমনিতেই শয্যা সংখ্যা ১ হাজার হলেও দ্বিগুন রোগী চিকিৎসাধীন থাকে সব সময়। তার উপর হঠাৎ ডেঙ্গু রোগীর অতিরিক্ত চাপে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। তাদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড চালুর নিদের্শনা থাকলেও পুরুষ এবং মহিলা ওয়ার্ডের মধ্যেই চলছে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা। 

হাসপাতালের পরিচালক প্রয়োজন হলে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড চালু এবং চিকিৎসক-নার্সদের ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসায় দক্ষতা বাড়াতে কর্মশালা আয়োজনের কথা বলে আসলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। শুধুই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন পরিচালক। 

তারপরও ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন। ডেঙ্গু রোগীকে বর্তমান সময়ে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে দাবি করে পরিচালক বলেন, এই রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে চিকিৎসক ও নার্সদের নিয়ে আগামী সোম ও মঙ্গলবার দুই দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। 

গত ১৬ জুলাই থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত শেরে-ই বাংলা মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন ১৩৪ জন ডেঙ্গু রোগী। এর মধ্যে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ৫৩ জন এবং লাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ জন। এছাড়া আজ সকাল পর্যন্ত চিকিৎসাধীন দেখা গেছে ৭৯ জনকে। এদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি হয়েছেন ৩৩ জন। যার মধ্যে পুরুষ ২৪ জন, নারী ৬ জন এবং ৩ জন শিশু। 

এর বাইরে গত ৩০ জুলাই রাতে গৌরনদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হতে আসা আলেয়া বেগম নামে এক নারী ডেঙ্গু রোগীকে মৃত ঘোষণা করেন ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহাবুবুল আলম মির্জা। 

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর