১ আগস্ট, ২০১৯ ১৬:১৮

বহুতল ভবনের বাসিন্দারাও ডেঙ্গুর ঝুঁকিমুক্ত নন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:

বহুতল ভবনের বাসিন্দারাও ডেঙ্গুর ঝুঁকিমুক্ত নন

বহুতল ভবনের বাসিন্দারাও ডেঙ্গুর ঝুকিমুক্ত নন। কারণ ১০০ গজ উড়ে বিশ্রাম নিতে নিতে এডিস মশা ২ হাজার ২০০ মিটার উঁচু ভবনেও উঠতে পারে। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে জনস্বাস্থ্য অধিকার রক্ষা কমিটি, চট্টগ্রামের উদ্যোগে ‘এডিস মশা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান। 

সংগঠনের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা-গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদশে পেডিয়াট্রিক এসোসিয়েশনের (বিপিএ) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ, নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া, সাংবাদিক সুভাষ দত্ত, সংগঠনের সদস্য সচিব ডা. সুশান্ত বড়ুয়া প্রমুখ।     

সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, জনপ্রতিনিধি, পুলিশ, প্রশাসন ও জনগণকে নিয়ে সমন্বিত ডেঙ্গু প্রতিরোধ কমিটি এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে শিশুদের সকাল-বিকেল-রাতে মশারির ভেতর রাখা, দরজা-জানালায় নেট লাগানো, সারা শরীর ঢেকে কাপড় পরা, মশারি ও পর্দায় মশানিরোধক ওষুধ লাগাতে পরামর্শ দেওয়া হয়।  

ডা. সুশান্ত বড়ুুয়া বলেন, ডেঙ্গু ভাইরাসজনিত জ্বর। যার সুনির্দিষ্ট ওষুধ নেই। ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ায় জ্বর হলেই টেস্ট করা দরকার। ডেঙ্গু রোগীর প্রধান চিকিৎসা সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উচিত, দেশের সব ডাক্তারদের হাতে-কলমে ১-২ দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া।

তিনি বলেন, এডিস ইজিপ্টি মশার ওড়ার ক্ষমতা মাত্র ১০০ গজ। তাই মানুষের বাসা-বাড়িতে থাকতে পছন্দ করে। ঘরের অন্ধকার ও স্যাঁতসেঁতে জায়গা, শোবার ঘর, টয়লেট, আসবাবপত্রের নিচে, ভিতরে, ঝোলানো কাপড়, মশারির আড়াল ও দেয়ালে, অনেক সময় বাড়ির বাইরে ঘাস, গাছ ও লতাপাতায় এরা বিশ্রাম নেয়। ডিম পাড়ার সক্ষমতার জন্য এদের মানুষ বা বানরের রক্তের প্রয়োজন হয়। যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, পুয়ের্টে রিকো শহরে এই মশা ৪০০ গজ পর্যন্ত উড়ে যেতে পারে।  

ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে আজ সকালে ৪ জন রোগী ছিল। তারা বিপদমুক্ত। তবে ডেঙ্গু আসলেই ভয়াবহ। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে এক শয্যায় ৪-৫ জন রোগী। মহামারী হলে সড়কে শামিয়ানা টাঙিয়ে চিকিৎসা দিতে হবে। ডেঙ্গু পরীক্ষার কিটসের দাম বাড়ানো হচ্ছে। উপসর্গ দেখা না গেলে কেবল জ্বর হলেই ডেঙ্গু পরীক্ষার দরকার নেই। তবে আসন্ন ঈদুল আজহায় ঘরমুখো মানুষের কারণে ডেঙ্গু সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে।’  

প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া বলেন, ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের সময় ১৪-২৮ দিন স্বচ্ছ পানি জমিয়ে রাখা হয়। এখানে ডেঙ্গু প্রজনন হওয়ার শঙ্কা আছে। তাই এ ক্ষেত্রে ছাদের পানি নেট দিয়ে ঢেকে রাখবেন না। ওই পানিতে ভবনের ক্ষতি না হয় এমন ওষুধ মেশানো যায় কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে।

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর