৩ আগস্ট, ২০১৯ ১৯:৫৯

সিরাজগঞ্জে এডিস মশা ও লার্ভার সন্ধান

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জে এডিস মশা ও লার্ভার সন্ধান

সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে পূর্ণ বয়স্ক এডিস মশা ও এডিস মশার লার্ভার সন্ধান পাওয়া গেছে। গত কয়েকদিনে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অ্যান্টোমোলজি টেকনিশিয়ানরা পৌরভবন, গণপূর্ত নির্বাহী প্রকৌশলীর বাসভবন, সার্কিট হাউস, পুলিশ সুপার ও জেলা পরিষদের ডাকবাংলো কার্যালয়সহ বেশ কয়েকটি সরকারি ভবনে এডিস মশা ও লাভার সন্ধান পেয়েছে। এ নিয়ে পৌরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে পৌর কর্তৃপক্ষ ও সিভিল সার্জন অফিস বলছে, মশক নিধনে ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে। আতঙ্ক না হয়ে প্রত্যেকে নিজ নিজ বাসভবন পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। 

অন্যদিকে, শুধু পৌরসভায় মশক নিধন ওষুধ স্প্রে করা হলেও ইউনিয়ন পর্যায়ে কোনো প্রকার স্প্রে করা হচ্ছে না। তবে ইউনিয়ন পর্যায়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তিনদিন আগে কামারখন্দ উপজেলার ঝাঐল গ্রামের এক যুবক ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ নিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে মানুষের মধ্যে ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্ক রয়েছে। 

সিভিল সার্জন ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে পৌর এলাকায় বেশ কয়েকটি স্থানে এডিস মশা ও লার্ভার সন্ধান পাওয়া গেছে। সিরাজগঞ্জ পৌরসভাকে মশক ও লাভা নিধনে ওষুধ স্প্রে করার জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ডেঙ্গু যাতে না ছড়ায় সে জন্য জনসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে। বিভিন্ন সভা-সমাবেশ র‌্যালি, ব্যানার-ফেস্টুন টানানো হয়েছে। এছাড়াও যারা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে তাদের সম্পূর্ণ বিনামুল্যে পরীক্ষা থেকে শুরু করে সব ধরনের সেবা দেয়া হচ্ছে। আর বেসরকারি হাসপাতালেও যেন পরীক্ষা ফি বেশী না নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে ও চিকিৎসাসেবায় যাতে কোনো ক্রুটি না হয় সেদিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। 

তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় ১১৪ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে ৩৪ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ২২ চিকিৎসাধীন রয়েছে। বাকী ৫৮ জনের মধ্যে দুজন বগুড়ায় চিকিৎসাধীন এবং ৫৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। ১১৪ জনের মধ্যে প্রায় সবাই ঢাকায় আক্রান্ত হলেও ৪ জন সিরাজগঞ্জে আক্রান্ত হয়েছে। 

সিরাজগঞ্জ পৌর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা জানান, সাতদিন যাবত সিরাজগঞ্জ পৌরসভার সকল ড্রেন, রাস্তাঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। মশা ও লাভা নিধনে দুটি ফগার মেশিন ও ৬টি স্প্রে মেশিন দিয়ে পৌরসভার বিভিন্ন অলিগলিতে ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে। ঢাকার গৌরব ইন্ডাষ্ট্রিজের উৎপাদিত লাভা নিধনের জন্য লার্ভি সাইট ও উড়ন্ত মশা নিধনের জন্য পেকসুলিকুইড ব্যবহার করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১০০ লিটার স্প্রে করা হয়েছে। ১০০ লিটার পৌরসভায় মজুদ রয়েছে এবং আরও ১০০ লিটার আগামী দুএকদিনের মধ্যেই আমদানি করা হবে। 

তিনি আরও জানান, পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াই অতিরিক্ত লোক দিয়ে পৌরসভার অলিগলিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। 

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর