সিরাজগঞ্জে প্রতিদিন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আবার অনেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে মোট জেলায় ১১৯ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জ সরকারি হাসপাতালসহ বেসরকারি হাসপাতালে ৫৬ চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকীরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
এদিকে, সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু শনাক্তকরণের জন্য কিট-রিএজেন্ট না থাকায় রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গরীব এসব রোগীকে বাইরে থেকে পরীক্ষা করাতে টাকা গুনতে হচ্ছে।
অন্যদিকে, সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে পূর্ণ বয়স্ক এডিস মশা ও এডিস মশার লার্ভার সন্ধান পাওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ডেঙ্গু আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত কয়েকদিনে সিভিল সার্জন কার্যলয়ের অ্যঅন্টোমোলজি টেকনিশিয়ানরা পৌরভবন ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়সহ বেশ কয়েকটি সরকারি ভবনে এডিস মশা ও লার্ভার সন্ধান পেয়েছে। গত কয়েকদিনে পৌর কর্তৃপক্ষ দেশীয় কোম্পানি গৌরব ইন্ডাস্ট্রিজ উৎপাদিত লার্ভা নিধনের জন্য লার্ভি সাইট ও উড়ন্ত মশা নিধনের জন্য পেকসুলিকুইড ব্যবহার করা হচ্ছে।সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, সদর হাসপাতালে ডেঙ্গুর টেস্টের এনএস-১ টেস্টের কিট বা রিএজেন্ট যা সরবরাহ ছিল তা সকালে শেষ হয়ে গেছে। পুনরায় সরবরাহের জন্য আবেদন করা হয়েছে। দুএকদিনের মধ্যে পেলে সঙ্কট কেটে যাবে। সরবরাহ না থাকায় রোগীদের বাইরে থেকে পরীক্ষা করতে হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম