৬ আগস্ট, ২০১৯ ১৬:৫৭
চসিকে ৩৬৪৭ পরিচ্ছন্নকর্মী

নালা-নর্দমায় বর্জ্য, প্রজনন হচ্ছে মশা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম:

নালা-নর্দমায় বর্জ্য, প্রজনন হচ্ছে মশা

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) পরিচ্ছন্ন বিভাগে স্থায়ী-অস্থায়ী এবং ডোর টু ডোর প্রকল্পসহ বর্তমানে ৩ হাজার ৬৪৭ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী কর্মরত আছে। চসিকের নিয়ম মতে, এসব কর্মী প্রতিটি ওয়ার্ডের নালা-নর্দমা এবং ড্রেন পরিস্কার করে। তবুও নগরের নালা-নর্দমা এবং ড্রেন বর্জ্যে ভরপুর থাকে। এসব নালায় প্রজনন হচ্ছে মশা। আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।

চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চসিকে প্রতিটি ওয়ার্ডের নালা-নর্দমা ও ড্রেন পরিস্কারের জন্য ১ হাজার ৬৬৯ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী আছে। এর মধ্যে স্থায়ী ৭৬৩ জন এবং অস্থায়ী ৯০৬ জন। তাছাড়া দুই বছর আগে ‘ডোর টু ডোর’ কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর এ প্রকল্পের জন্য নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয় আরো ১ হাজার ৯৭৮ জন। সব মিলে বর্তমানে ৩ হাজার ৬৪৭ জন পরিচ্ছন্নকর্মী বর্জ্য অপসারণ কাজে নিয়োজিত আছেন। এ হিসাবে প্রতি ওয়ার্ডে কর্মরত আছে ৮৯ জন। তাছাড়া এসব কর্মীদের তদারকি করার জন্য নিয়োজিত আছেন ৯২ জন সুপারভাইজার। তবুও নালা নর্দমায় আবর্জনা থাকে বলে অভিযোগ আছে।

প্রসঙ্গত, চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ডেঙ্গু রোগ মহামারি আকার ধারণ করার আগেই নগরবাসীর মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ঢাকার তুলনায় চট্টগ্রামে আক্রান্তের সংখ্যা কম। তবে এই ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে চসিকের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা আপনাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত। কারণ নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে বিগত বছরের তুলনায় কয়েকগুণ পরিচ্ছন্ন কমী রয়েছে।’

তবে নগরবাসীর অভিযোগ, এত পরিচ্ছন্নকর্মী থাকার পরও নগরের প্রায় সবক’টি নালা-নর্দমা এবং ড্রেনগুলো নানা ধরণের বর্জ্যে টাসা থাকে। অথচ এসব নালা-নর্দমা থেকেই প্রজনন হচ্ছে মশা। এখন বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় আতঙ্ক আরো কয়েকগুণ বৃদ্ধি হয়েছে। চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ যদি দায়িত্বশীল, যথাযথ এবং সচেতনভাবে কাজ করে, তাহলে আমাদের এত আকঙ্কের মধ্যে থাকতে হতো না।

চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী বলেন, ‘পরিচ্ছন্ন কর্মীরা প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে নালা পরিস্কার এবং ঝাড়ু দেওয়ার কাজ করে থাকে। এটার জন্য রুটিনও আছে। তাছাড়া পরিচ্ছন্নকর্মীদের তদারকির জন্যও আছেন ৯২ জন সুপাইভাইজার। ফলে এখানে অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই। এর পরও হয়তো কোন কোন স্থানে বর্জ্য থেকে যায় তা আমাদের অবহিত করার পর তা পরিস্কার করা হয়।’    

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর