৬ আগস্ট, ২০১৯ ১৯:৩৮

সাতক্ষীরায় ১৫ দিনের ব্যবধানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৮২

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:

সাতক্ষীরায় ১৫ দিনের ব্যবধানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৮২

সাতক্ষীরায় সরকারি হাসপাতালসহ বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু কর্ণার খোলা হলেও বেড ও ডেঙ্গু পরীক্ষা করার জন্য কিট সংকট দেখা দিয়েছে। তেমনি সাতক্ষীরা সরকারি হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ থেকে সরকার নিধারিত ফি এর বাইরেও বাড়তি টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

গত ১৮ জুলাই জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রথমে ১১ জন সনাক্ত হলেও গত ১৫ দিনের ব্যবধানে এ সংখ্যা বেড়ে সোমবার দাঁড়িয়েছে ৮২ জনে।
সাতক্ষীরা জেলা সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন জানান, সাতক্ষীরায় এডিস মসার কামড়ে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি ও ঢাকা থেকে আসা ডেঙ্গু আক্রান্তের সংক্ষ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। মোট ৮২ জনকে সনাক্ত করা হয়েছে। এই মুহূর্তে সাতক্ষীরা জেলায় সরকারি হাসপাতাল ও বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে ৩৬ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

৩৯ জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে বাড়ী ফিরে গেছে। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৬ জন। সাতক্ষীরা মেডিকেলে ভর্তি রয়েছে ৭ জন। সেখানে মোট ১২ জন সনাক্ত হয়। এর বাইরে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সনাক্ত হয়েছে ৬ জন। এর মধ্যে ১ জন এখনো ভর্তি রয়েছে। 

কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন ও শ্যামনগরে পরীক্ষা করে ১ জন সনাক্ত হয়। এছাড়া সিভি হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৭ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। হাসপাতালে ডেঙ্গু কর্ণার খোলা হয়েছে। ডেঙ্গু পরীক্ষার  কিট সংকট রয়েছে। সরবরাহ কম থাকায় রোগীদের সেবা দিতে ডাক্তার ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে জ্বর হলে হাতুড়ে বা কোআক ডাক্তারের পরমর্শ না নিয়ে রেজিষ্ট্রাড ডাক্তারের চিকিৎসা ও পরামর্শ নেওয়ার আহবান জানান সিভি সার্জন। 

এদিকে সাতক্ষীরা সরকারি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনদের রয়েছে নানা অভিযোগ। প্রয়োজনীয় ঔষধ ও খাদ্য খাবার বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে। সদর উপজেলার চুপড়িয়া গ্রামের বিপ্লব জানান গত রাতে তার চাচাকে হাসপাতালে ভর্তি করান। হাসপাতালের চিকিৎসাপত্র ও টোকেন নিয়ে রক্ত পরীক্ষার জন্য প্যাথলজি বিভাগে গেলে সেখানে ৬৫০ টাকা দিয়ে পরীক্ষার রিপোর্ট নিতে হয়েছে। ঢাকা থেকে আসা ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী রফিকুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে ৬ দিন ধরে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সরকারি ভাবে কোন ঔষধ দেওয়া হয় না। সকল ঔষধ বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে।    

সরকারি সদর হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ল্যাব) রবিন্দ্র নাথ ঘোষ জানান, প্রতিদিন স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। স্থানীয় ও ঢাকা থেকে আসা প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ জনের মত রোগীকে ডেঙ্গু পরিক্ষা করা হচ্ছে। ডেঙ্গু নিরিক্ষা উপকরণ এনএস-১, আইজিএম ও আইজিজি সংকট ছিল। কিন্তু স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় ঢাকা থেকে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য আইজিএম ও আইজিজি নিয়ে আসা হয়েছে। এতে করে কিছুটা সংকট উত্তরণ সম্ভব হয়েছে।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর