৩১ আগস্ট, ২০১৯ ১৬:০১

সেপ্টেম্বর মানেই ডেঙ্গুর জন্য আতঙ্ক!

অনলাইন ডেস্ক

সেপ্টেম্বর মানেই ডেঙ্গুর জন্য আতঙ্ক!

সারাদেশে ধীরে ধীরে ডেঙ্গু পরিস্থিতির উন্নতি হলেও এখনো বন্ধ হয়নি হাসপাতাল গুলোতে নতুন রোগী ভর্তির সংখ্যা। তবে নতুন রোগী ভর্তির তুলনায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফেরার সংখ্যা বেশি। 

এদিকে ২০০০ সাল থেকে শুরু করে পরবর্তী আরও ১৮ বছরে যেখানে সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৫০ হাজার ১৪৮ জন। সেখানে এ বছর ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সেই সংখ্যা ৬৯ হাজার ৪৩৫ জন!

সেপ্টেম্বর মাস মানেই যেন ডেঙ্গুর জন্য আতঙ্ক! গত কয়েকবছর ধরেই এই মাসেই যে সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। 

চিকিৎসকরা বলছেন, বিগত বছরের অভিজ্ঞতায় সেপ্টেম্বর ডেঙ্গুর পিক আওয়ার। তবে এডিস প্রতিরোধে জোর তৎপরতা ও আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে আসায় এবার সেই শঙ্কা নেই।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মতে, ডেঙ্গুকে মাসের ফ্রেমে বাধা যায় না। সহায়ক পরিবেশ পেলে যেকোনো সময় মাথাচাড়া দিতে পারে এডিস। তাই এডিস প্রতিরোধে বছরজুড়েই সমন্বিত ও পরিকল্পিত উদ্যোগের পরামর্শ তাদের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেবে আগস্টের প্রথম সপ্তাহের তুলনায় বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে অর্ধেকে। কমেছে পরীক্ষায় ডেঙ্গু পজেটিভের হারও। তাইতো বিগত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় সেপ্টেম্বর ডেঙ্গুর পিক আওয়ার হলেও এবার সেই শঙ্কা দেখছেন না চিকিৎসকরা। তবে এখনই শঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, সিটি কর্পোরেশনের কর্মদক্ষতা এবং জনগণের সচেতনতা বাড়ায় এবারের সেপ্টেম্বরে আগের মত পরিস্থিতি হওয়ার সম্ভাবনা কম।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. এম এম আক্তারুজ্জামান বলেন, এডিস মশার ডিম প্রায় ছয় থেকে নয়মাস সুপ্ত অবস্থায় থাকতে পারে। তাই পরিস্থিতি সম্পর্কে আগে থেকেই কোনো কিছু আন্দাজ করা সম্ভব নয়।


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর