১৫ জুলাই, ২০২৩ ১৬:১৯

ডেঙ্গুর রেড জোনে রংপুর নগরীর ১৫ ওয়ার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

ডেঙ্গুর রেড জোনে রংপুর নগরীর ১৫ ওয়ার্ড

রংপুর সিটি করপোরেশন ৩৩টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে ডেঙ্গুর রেড জোনে রয়েছে ১৫টি ওয়ার্ড।  ওই সব ওয়ার্ডে এডিস মশার লার্ভা রয়েছে সহনীয় পর্যায়ের বেশি। তবে এডিস মশার লার্ভা নিধনে সিটি করপোরেশনের অভিযান চলছে। 

এদিকে, প্রতিদিনই রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে বিভাগের ৮ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৫২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। 

সিটি করপোরেশনের স্থাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানা গেছে, সিটি করপোরেশন এলাকার ১৫টি ওর্য়াড নিয়ে আগে পৌরসভার ছিল। মূল শহর এই ১৫টি ওয়ার্ড ঘিরে। এসব এলাকায় জনসংখ্যা অনেক বেশি এবং ঘিঞ্জি এলাকা। এসব এলাকার জনগণের অসচেতনতায় এডিস মশার লার্ভা তৈরি হচ্ছে এবং মানুষ জনের ডেঙ্গু আক্রান্তের শঙ্কা রয়েছে। গত সপ্তাহে অভিযান চালিয়ে নগরীর ৩টি স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ার পরে সিটি করপোরেশন, সিভিল সার্জন অফিস, স্বাস্থ্য বিভাগ ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে।  

এদিকে, বিভাগীয় স্বাস্থ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, রংপুর বিভাগে এ পর্যন্ত ১৭৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে ৫২ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরমধ্যে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২২ জন এবং অন্যত্র আরও ৩ রয়েছেন। লালমনিরহাটে ৪ জন, কুড়িগ্রামে ৩ জন, নীলফামারীতে ৪ জন, গাইবান্ধায় ৩ জন, দিনাজপুরে ১০ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ২ জন এবং পঞ্চগড়ের হাসপাতালে একজন চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে গত ৪ জুলাই রমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গু আক্রান্ত এক রোগী মারা গেছেন। ডেঙ্গু আক্রন্ত রোগীদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। 

রমেক হাসপাতালে পরিচালক ডা. ইউনুস আলী বলেছেন, হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা পর্যাপ্ত চিকিৎসা পাচ্ছেন। 

রংপুর সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ প্রধান ডা. কামরুজ্জামান ইবনে তাজ বলেন, নগরীর ১৫টি ওয়ার্ডে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আমরা সচেতনতা মূলক প্রচারণা এবং ভ্রাম্যমাণ অভিযান অব্যাহত রেখেছি।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর