পটুয়াখালীতে আশংকাজনকভাবে বেড়েই চলছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঈদ পালন করতে পটুয়াখালীতে আসা লোকজনই আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও এখন তা জেলার উপজেলা গুলোর গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে। তাই পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নির্ধারিত ওয়ার্ডের মেঝে ও কড়িডোরে এমনটি সর্ব সাধারণের হাঁটার পথ (ওয়াকওয়ে) শয্যা দিয়েও রোগীর চিকিৎসা চলছে।
চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত জেলায় ১ হাজার ৫৩১ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে জুলাই মাসের প্রথম সাত দিনে ৪৫৫ জন রোগী ভর্তি হয় বিভিন্ন হাসপাতালে। জানুয়ারী থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ২৯০ জন রোগী ইতোমধ্যেই সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরেছেন। বর্তমানে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২২৬ জন। পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৭৫ জন। যদিও গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়ে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৬৭ জন রোগী ভর্তি হয়। এর মধ্যে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছেন ২২ জন। যার মধ্যে শিশু রয়েছে ৪ জন। তবে এ পর্যন্ত কোন মৃত্যু নেই।
পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন অফিসের দেয়া তথ্যানুযায়ী, পটুয়াখালীতে আজ পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় মোট ২২৬ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭৫ জন, দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩৬ জন, বাউফলে ২৪ জন, গলাচিপায় ২৪ জন, মির্জাগঞ্জে ২৫ জন, দুমকিতে ৩৫ জন ও কলাপড়ায় ৭ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। আক্রান্তরা সবাই পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলা গ্রামের মানুষ।পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, নির্ধারিত ৪৩টি শয্যায় রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে শয্যার চেয়ে রোগী বেশি হওয়ায় ওয়ার্ডের মেঝেতে ও কড়িডোরে এবং সাধারণ ওয়ার্ডে এমনটি হাটার পথে (ওয়াকওয়ে) রোগীল চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে তাদের মশারির মধ্যে রাখা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম