শিরোনাম
২৮ মে, ২০২৪ ১৬:১৪

ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে মশা বেশি, ডেঙ্গুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ : জরিপ

অনলাইন ডেস্ক

ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে মশা বেশি, ডেঙ্গুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ : জরিপ

প্রতীকী ছবি

রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ ডেঙ্গুর জীবাণু বাহক এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ‘উচ্চঝুঁকিতে’ ১৮টি ওয়ার্ড। দুই সিটির মধ্যে দক্ষিণ সিটিতে মশার ঘনত্ব বেশি। বহুতল ভবনে সবচেয়ে বেশি এডিস মশার লার্ভা রয়েছে।

গত ১৭ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত চালানো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রাক-বর্ষা জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার আওতাধীন জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অধীনে দুই সিটির ৯৯টি ওয়ার্ডের ৩ হাজার ১৫২টি বাড়িতে এ জরিপ চালানো হয়।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত মৌসুম পূর্ব এডিস সার্ভে-২০২৪ এর ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে জরিপের তথ্য উপস্থাপন করা হয়।

জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ও কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোলের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক শেখ দাউদ আদনান। তিনি বলেন, ৩ হাজার ১৫২টি বাড়ির মধ্যে ৪৬৩টিতে এডিস মশার লার্ভা ও পিউপা (লার্ভার পরের স্তর) পাওয়া গেছে। তার মধ্যে বহুতল ভবনে ৪২ দশমিক ৩৩ শতাংশ, স্বতন্ত্র বাড়িতে ২১ দশমিক ৬ শতাংশ, নির্মাণাধীন বাড়িতে ২১ দশমিক ৬ শতাংশ এবং সেমিপাকা বাড়িতে ১২ দশমিক ৭৪ শতাংশ লার্ভা পাওয়া যায়।

এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের সূচক ‘ব্রুটো ইনডেক্স’ নামে পরিচিত। স্বীকৃত এই মানদণ্ডে লার্ভার ঘনত্ব ২০ শতাংশের বেশি হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে বলে মনে করা হয়। এদিকে দুই সিটির ৯৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টিতে ব্রুটো ইনডেক্স ২০-এর বেশি। এই এলাকাগুলো ডেঙ্গুর বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ঝুঁকিতে থাকা ওয়ার্ডগুলো হলো-১২, ১৩, ২০, ৩৬, ৩১, ৩২, ১৭ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলো হলো-৪, ১৩, ৫২, ৫৪, ১৬, ৩, ৫, ১৫, ১৭ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ড।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে ১২ নম্বর ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডে এডিসের ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে ৪৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এরপরের অবস্থানে রয়েছে ১৩ নম্বর ও ২০ নম্বর ওয়ার্ড, এগুলোতে ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে ৪০ শতাংশ। ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ, ৩১ নম্বর ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে ৩০ শতাংশ, ১৭ নম্বর ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে ২৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে।

এ ছাড়াও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে ঢাকার সবচেয়ে বেশি ৭৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৪৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ, ৫২ নম্বর ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও ৩, ৫, ১৫, ১৭ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৩০ শতাংশ ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর