৭ অক্টোবর, ২০২৩ ১৪:১৪

ওষুধ রপ্তানি ২৬ শতাংশ বেড়েছে

রাশেদ হোসাইন

ওষুধ রপ্তানি ২৬ শতাংশ বেড়েছে

ফাইল ছবি

বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের ওষুধের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওষুধ রপ্তানি হয়েছে ৫ কোটি ২৬ লাখ ডলারের। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তা ২৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেশি। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওষুধ রপ্তানি হয়েছে ৫ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার ডলারের। গত বছরের একই সময়ে এ খাতের রপ্তানি আয় ছিল ৪ কোটি ১৮ লাখ ডলার। গত বছরের চেয়ে এ বছর যে কৌশলগত রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল, তার চেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ কোটি ৭৩ লাখ ৮০ হাজার ডলারের, রপ্তানি হয়েছে ৫ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার ডলারের। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে ১১ দশমিক ২১ শতাংশ।

সদ্য শেষ হওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে ওষুধ রপ্তানিতে দেশের আয় হয়েছিল ১৭ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার ডলার। সম্ভাবনাকে মাথায় রেখে চলতি বছর এ খাতের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২১ কোটি ডলার। তবে আগের বছর, অর্থাৎ ২০২১-২২ অর্থবছরে এ খাতের রপ্তানি আয় কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিল। দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারকরা আশানুরূপ লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেননি। সে সময় এলসি খোলার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধের মুখে কাঁচামাল আমদানি কমে যাওয়ায় এ শিল্প অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিশ্ববাজারে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির কারণে ওষুধ উৎপাদন ব্যয় বেশি ছিল, যা এই শিল্পকে সংকটের দিকে ঠেলে দেয়। তবে সেই সংকট কিছুটা কাটিয়ে উঠছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঔষধ রপ্তানি গত তিন মাসে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো প্রধান রপ্তানি দেশগুলোর অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হচ্ছে। তাই তারা ক্রমান্বয়ে ক্রয় আদেশ বাড়াচ্ছে। ফলে ওষুধ রপ্তানি বাড়ছে। তবে তারা বলছেন, রপ্তানি আয় এখনো গতি ফিরে পায়নি, কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্রেতারা এখনো প্রকৃত দামের চেয়ে কম দাম দিচ্ছেন।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর