১৮ নভেম্বর, ২০২৩ ১৭:১৪

আর ডিম আমদানি না করার দাবি পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের

অনলাইন ডেস্ক

আর ডিম আমদানি না করার দাবি পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের

ফাইল ছবি

ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন।

বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেছেন, দেশে ডিম অতিরিক্ত উৎপাদন হচ্ছে। সিন্ডিকেট ভাঙতে পারলে আমদানির প্রয়োজন নেই। সিন্ডিকেট উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে, তাই দাম বাড়ছে। তাছাড়া দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। একই সঙ্গে তারা মজুদ করে ডিমের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।

তবে ভোক্তা স্বার্থে ডিম আমদানির পক্ষে কঞ্জুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। 

ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ‘বিশ্বায়নের প্রেক্ষাপটে আমদানি-রপ্তানি অবাধে হওয়া উচিত। তাহলে এর সুফল পাবেন ভোক্তারা। ভোক্তা স্বার্থে সব পণ্যেরই আমদানি উন্মুক্ত থাকতে হবে। তাহলে সিন্ডিকেটের কারসাজি আর মধ্যসত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমবে।’ 

তিনি বলেন, ‘যদি আমদানির সুযোগ থাকে তাহলে আমাদের দেশের যারা উৎপাদক আছে তারা কীভাবে উৎপাদন সাশ্রয়ী হবে সেদিকে মনোযোগী হবে। যদি কোনো প্রতিযোগিতার ভয় না থাকে তাহলে কোনো পদক্ষেপ উৎপাদক সহজে নেবে না।’

মুক্তবাজার অর্থনীতিতে দাম বেঁধে দিয়ে আর অভিযান করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় বলেও মনে করেন গোলাম রহমান। 

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ ডিম আমদানির পরামর্শ দিয়ে বলেন, দীর্ঘমেয়াদে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে।

কৃষি অর্থনীতিবিদরা অবশ্য বলছেন, ডিম আমদানি হোক, তবে দীর্ঘমেয়াদে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। 

শনিবার রাজধানীতে ডিমের অন্যতম বড় পাইকারি বাজার কাপ্তান বাজারে প্রতিটি লাল ডিম বিক্রি আট টাকা ৯০ পয়সা, সাদা ডিম আট টাকা ৭০ পয়সায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। গত এক সপ্তাহ ধরেই এই আড়তে প্রতিদিনই কমছে ডিমের দাম। 

ডিমের আড়তদার জহিরুল ইসলাম বলেন, ডিমের উৎপাদন তো আর হুট করে বাড়েনি। প্রতিদিনের চাহিদা যেখানে চার কোটি পিস এখনও সেখানে ডিম উৎপাদন হচ্ছে সাড়ে চার কোটি পিস। তারপরও কেন-ই বা বেড়ে ১৮০ টাকা হয়েছিলো, কেন সেটি আবার কমে ১১০ থেকে ১২০ টাকা ডজনে নেমে এলো, তার ব্যাখ্যাও দিলেন ডিমের কারবারীরা।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর