৯ মে, ২০২৪ ১১:১৬

বসুন্ধরার সিলিন্ডারে অন্য গ্যাস ভরে প্রতারণা, ফিলিং স্টেশন বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বসুন্ধরার সিলিন্ডারে অন্য গ্যাস ভরে প্রতারণা, ফিলিং স্টেশন বন্ধ

প্রতীকী ছবি

খুলনা শহর সংলগ্ন উপজেলার একাধিক ফিলিং স্টেশন থেকে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারে গাড়িতে ব্যবহৃত গ্যাস ভর্তি করার রমরমা ব্যবসা চলার অভিযোগ রয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জনপ্রিয় বসুন্ধরা গ্যাস কম্পানির সিলিন্ডার ব্যবহার করা (ক্রস ফিলিং) হচ্ছিল। এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর হওয়ার পর জেলা প্রশাসন অভিযানে নামে। গত মঙ্গলবার অভিযানে ডুমুরিয়ার সুরাইয়া অটো এলপিজি গ্যাস ফিলিং স্টেশনে অনিয়ম হাতেনাতে ধরা পড়ে।

এ সময় ভোক্তা অধিকার আইনে ফিলিং স্টেশনের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, খুলনার বাইপাস সড়কের অপেক্ষাকৃত নিরিবিলি স্থানে সুরাইয়া অটো এলপিজি গ্যাস ফিলিং স্টেশন। অধিক লাভের আশায় এবং শুল্ক ফাঁকি দিতে রান্নার কাজে ব্যবহৃত সিলিন্ডারে এই গ্যাস ভর্তি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছিল তারা।

গত মঙ্গলবার বিকেলে একটি পিকআপ ক্রস ফিলিং করা গ্যাস নিয়ে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার উদ্দেশে যাচ্ছিল। খবর পেয়ে হরিণটানা থানা পুলিশ, বিস্ফোরক পরিদপ্তরের কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত হন। পরে অভিযানকারীরা ওই ফিলিং স্টেশনে ক্রস ফিলিংয়ের প্রমাণ পান। ক্রস ফিলিং করার সিল এবং বিভিন্ন গ্যাস বোতলজাতকারী প্রতিষ্ঠানের স্টিকারসহ ৯৮টি খালি সিলিন্ডার জব্দ করা হয়। সেখানে বসুন্ধরা গ্যাস কম্পানির বোতলেও ক্রস ফিলিং করা হচ্ছিল।

বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেডের কবির আজম জানান, যানবাহনের গ্যাসের চেয়ে রান্নার গ্যাসের দাম অনেক বেশি। উপরন্তু সেখানে জব্দ করা প্রতিটি সিলিন্ডারে ১২ কেজির পরিবর্তে ৯-১০ কেজি করে গ্যাস ভর্তি করা হয়েছিল। ক্রস ফিলিংয়ের কারণে প্রাথমিকভাবে গ্রাহকরা প্রতারিত হয়, সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়; উপরন্তু দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়।

জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আল আমিন ক্রস ফিলিং করা এই প্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রম বন্ধ এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন। ক্রস ফিলিংয়ে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিও জব্দ করা হয়। এ সময় পুলিশ ও ভোক্তা অধিকার সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ওই ফিলিং স্টেশন থেকে বসুন্ধরাসহ একাধিক কম্পানির এলপি গ্যাসের খালি সিলিন্ডার মজুদ রেখে তাতে বিপজ্জনক প্রক্রিয়ায় গাড়িতে ব্যবহৃত এলপি গ্যাস ভর্তি করে বাজারজাত করা হতো। এতে সরকার রাজস্ববঞ্চিত হচ্ছিল এবং সাধারণ মানুষ নিম্নমানের গ্যাস ব্যবহার করে দুর্ঘটনার ঝুঁকির মুখে পড়ছিল। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির বৈধ কাগজপত্রও ছিল না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর