৫ জুন, ২০২৪ ২৩:১২

মে মাসে রপ্তানি আয় কমেছে ১৬%

অনলাইন ডেস্ক

মে মাসে রপ্তানি আয় কমেছে ১৬%

চলতি অর্থবছরের সদ্যবিদায়ী মে মাসে গত অর্থ বছরের একই সময়ের চেয়ে রপ্তানি আয়ে কম হয়েছে ১৬ শতাংশের বেশী। এই আয় এমন সময় কমেছে তখন দেশের বৈদেশিক মুদ্রার চরম সংকট। বুধবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ইপিবির প্রকাশিত পরিসংখ্যানে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

ইপিবির পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) মে মাসে দেশের সামগ্রিক পণ্য রপ্তানি থেকে আয় এসেছে ৪০৭ কোটি ডলার।

এই সময় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৩৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার। এর আগের অর্থবছরে এই আয় ছিল ৪৮৪ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। এ ছাড়া মে মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কম হয়েছে ২৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ইপিবির পরিসংখ্যান দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের গত ১১ মাসে (জুলাই-মে) রপ্তানি আয় এসেছে ৫ হাজার ১৫৪ কোটি ডলার। যা আগের অর্থ বছরের একই সময়ের চেয়ে ২.০১ শতাংশ বেশী।

এদিকে তৈরি পোশাক খাত থেকে দেশের সিংহভাগ রপ্তানি আয় হয়। গত ১১ মাসে এ খাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এ সময় আয় হয়েছে ৪ হাজার ৩৮৫ কোটি ডলার।

যা গত অর্থ বছরের একই সময়ে ছিল ৪ হাজার ২৬৩ কোটি ডলার। রপ্তানি প্রবৃদ্ধি কিছুটা বাড়লেও এই আয় লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ কম। এ সময় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ৭৪৭ কোটি ডলার।
ইপিবির পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রায় সব বড় খাতের রপ্তানি আয় কমেছে। তবে কৃষি পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ।

আয় হয়েছে ৮৪ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। এর আগের অর্থ বছরে একই সময়ে আয় ছিল ৭৮ কোটি ২১ লাখ ডলার। প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এ সময় আয় হয়েছে ২৪ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। এর আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১৯ কোটি ডলার।

হস্তশিল্প পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯ দশমিক ২৩ শতাংশ। এ সময় আয় হয়েছে ৩ কোটি ২০ লাখ ডলার। এর আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ২ কোটি ৮৪ লাখ ডলার।

চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে রপ্তানি আয় কমেছে ১৪ দশমিক ১৭ শতাংশ। আয় হয়েছে ৯৬ কোটি ১৪ লাখ ডলার। এর আগের অর্থবছরের এই আয় ছিল ১১২ কোটি ডলার। চামড়া জুতা রপ্তানিতে আয় কমেছে ২৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। তবে  সবধরনের পাদুকা রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এ সময় আয় হয়েছে ৪৬ কোটি ৩৩ লাখ ডলার।

সরকারের নানা প্রণোদনা ও অগ্রাধিকার খাত হলেও পাট ও পাটজাত পণ্যে রপ্তানি আয় কম হয়েছে ৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এ সময় আয় হয়েছে ৭৮ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। এর আগের অর্থবছরের আয় ছিল ৮৪ কোটি ৮৬ লাখ ডলার।

হোমটেক্সটাইলে আয় কমেছে ২৪.২৯ শতাংশ। আয় হয়েছে ৭৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ের আয় ছিল ১০২ কোটি ৪৯ লাখ ডলার। এ ছাড়া আসবাবপত্র রপ্তানি আয় কমেছে ১৮.৫৪ শতাংশ। আয় হয়েছে ৪ কোটি ৩৮ লাখ ডলার।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রপ্তানি ঋণাত্বক প্রবৃদ্ধি দেশের অর্থনীতিকে আরো স্থবির করে ফেলবে। কেননা এমন এক সময় রপ্তানি আয় কমছে যখন দেশের বৈদেশিক মুদ্রার চরম ঘাটতি। একই সময়ে সংকট মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং অন্যান্য বৈশ্বিক উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে ঋণ করছে সরকার। 

বিডি-প্রতিদিন/শআ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর