শুক্রবার, ১৭ মে, ২০১৩ ০০:০০ টা

জিএসপি রক্ষার লড়াই

মার্কিন বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের অবাধ প্রবেশাধিকার রক্ষার সর্বাত্দক চেষ্টা চলছে। সাভারের ভবন ধসে প্রায় ১২০০ শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ভাবমূর্তি তলানিতে নিয়ে যাওয়ায় জিএসপি রক্ষা এখন সত্যিকার অর্থেই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, জিএসপি প্রত্যাহার হলে তা শ্রমিকদের জীবনমানে আঘাত হানবে। পোশাক শিল্পের পরিবেশ উন্নয়নের যে চেষ্টা চলছে তা ব্যাহত হবে। বেকার হয়ে পড়বে লাখ লাখ শ্রমিক। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পের সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে কথা বলেন মার্কিন কংগ্রেসের বাংলাদেশ ককাসের কো-চেয়ারম্যান ক্রাউলির সঙ্গে। এ সময় গার্মেন্ট খাতের নিরাপত্তা ও উন্নয়নে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর কথা জানানো হয়। বলা হয়, শ্রমিকদের সংগঠিত হওয়ার অধিকার ও জীবনমান উন্নয়নে মন্ত্রিসভায় শ্রমআইন ২০০৬ সংস্কারের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। বাংলাদেশের সব গার্মেন্ট কারখানার ঝুঁকির মাত্রা নিরূপণে নেওয়া হয়েছে বেইসলাইন সার্ভে। ঝুঁকিপূর্ণ কারখানাগুলো সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। এসব পদক্ষেপ অব্যাহত রাখতে ক্রেতাদের দায়িত্বপূর্ণ আচরণের আশা করা হয় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় আগামী এক বছরের মধ্যে প্রতিটি গার্মেন্টে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করা হবে। শ্রমিক নেতা আমিনুল হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি সম্পর্কেও জানানো হয় মার্কিন কংগ্রেসম্যানকে। জিএসপি রক্ষাসহ অন্যান্য ইস্যুতে আলোচনার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে কথা রয়েছে। গার্মেন্ট শিল্পের ওপর দেশের ৩৬ লাখ শ্রমিকের জীবন-জীবিকা নির্ভরশীল। দেশের অর্থনীতির প্রাণভোমরা হিসেবেও ভূমিকা রাখছে এ খাত। জিএসপি রক্ষায় সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে, তা রক্ষায় সব পক্ষকেই যত্নবান হতে হবে।

সর্বশেষ খবর