রবিবার, ২৩ জুন, ২০১৩ ০০:০০ টা

নিত্যপণ্যের বাজার

মাহে রমজানকে সামনে রেখে অসৎ ব্যবসায়ীরা তৎপর হয়ে উঠেছেন। যুক্তিগ্রাহ্য কারণ না থাকলেও বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। রোজার মাসে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রতিটি সরকারের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ রমজানে বেশ কিছু নিত্যপণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতিও ভালো। বাজারে নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। তারপরও মুনাফাখোরদের তৎপরতা উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। রোজা শুরু হতে এক পক্ষকাল বাকি থাকতেই কোনো কোনো নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রবণতা শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে চালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২ থেকে ৩ টাকা। বেড়েছে শসা, টমেটো ও বেগুনের দাম। রোজা এবং শবেবরাতকে সামনে রেখে চিনি, তেল, আদা, পিয়াজ ইত্যাদি নিত্যপণ্যের দাম গত এক সপ্তাহে তুলনামূলকভাবে বেড়েছে। ব্যবসায়ীদের যুক্তি একটানা বৃষ্টিপাতে তরিতরকারির ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় দাম কিছুটা বেড়েছে। তাদের মতে, আরও দুই মাস এক্ষেত্রে সংকট চলবে। গত চার বছরে রোজা উপলক্ষে ভোগ্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার মোটামুটি সফলতার পরিচয় দিয়েছে। এবার সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারকে আগের তুলনায় বেশি সতর্ক থাকতে হবে। কারণ সামনে নির্বাচন। স্পর্শকাতর এ পবিত্র মাসে রোজাদাররা ভোগান্তির সম্মুখীন হলে তাদের কাছে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা হ্রাস পাবে। সে কারণে রোজাদারদের দুর্ভোগ বাড়িয়ে যারা ব্যবসা করার চক্রান্ত করছে তাদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। বাজার মনিটরিংয়ে হতে হবে আরও বেশি সক্রিয়। বিশেষ করে পিয়াজ, ছোলা, চিনি, ডাল ও ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকট যাতে দানা বেঁধে না ওঠে সে ব্যাপারে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। মুনাফাখোরদের দমনে কঠোরমনোভাবও থাকা উচিত। প্রয়োজনে সরকারি উদ্যোগে রোজা উপলক্ষে খোলা বাজারে পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে। মাহে রমজানে চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে সরবরাহ সচল রাখা সরকারের অবশ্য পালনীয় কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত। আমাদের বিশ্বাস এ কর্তব্য পালনে সরকার তাদের সাধ্যমতো চেষ্টা চালাবে।

সর্বশেষ খবর