সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০১৩ ০০:০০ টা
ধর্ম

ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব দেয় ইসলাম

মাওলানা মুহাম্মদ সাহেব আলী

আল্লাহর নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) দুনিয়ায় এসেছিলেন ইনসাফ প্রতিষ্ঠার জন্য। মুমিনদের উচিত জীবনের সর্বক্ষেত্রে ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় যত্নবান হওয়া। রাসূল (সা.) এ বিষয়ে তার অনুসারীদের যে শিক্ষা দিয়েছেন তাতে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। সাফওয়ান ইবনে সুলাইম (রহ.) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কতক সাহাবির পুত্র থেকে বর্ণনা করেছেন। তারা তাদের পিতাদের থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সাবধান! যে ব্যক্তি চুক্তিবদ্ধ ব্যক্তির (বা সম্প্রদায়ের) ওপর অত্যাচার করবে অথবা তার প্রাপ্য অধিকার দান করবে না অথবা তার ওপর সামর্থ্যের অধিক (দায়িত্ব বা কাজের) বোঝা চাপাবে অথবা তার আন্তরিক সম্মতি ব্যতীত তার কোনো জিনিস হস্তগত করবে, কেয়ামতের দিন আমি (তার প্রতিনিধি হয়ে) ওই ব্যক্তির সঙ্গে বোঝাপড়া করব। (আবু দাউদ থেকে মিশকাতে)

ইনসাফ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অপরের সম্পদ বা হক আত্দসাৎ না করা, ব্যভিচার থেকে বিরত থাকা, ব্যবসায়-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অপরকে ফাঁকি না দেওয়া ও বিচারের ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে যত্নবান হতে হবে।

ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে জাতির মধ্যে আত্দসাতের প্রসার ঘটবে, আল্লাহতায়ালা তাদের অন্তরে শত্রুদের ভয় বৃদ্ধি করে দেবেন। যে জাতির মধ্যে জেনা-ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়বে তাদের মৃত্যুহার বেড়ে যাবে। যে জাতি ওজন ও মাপে কম দেবে তাদের রিজিক হ্রাসপ্রাপ্ত হবে। যে জাতির বিচারালয় হকের পরিপন্থী রায় দেবে তাদের মধ্যে হত্যাকাণ্ড ও রক্তপাত বৃদ্ধি পাবে। আর যে জাতি চুক্তি ভঙ্গ করবে তাদের ওপর শত্রুরা বিজয়ী হবে। (মুওয়াত্তা ইমাম মালেক)

মাহে রমজানে আল্লাহ আমাদের জীবনের সর্বক্ষেত্রে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার তৌফিক দান করুন।

লেখক : ইসলামী গবেষক।

সর্বশেষ খবর