বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৩ ০০:০০ টা

বোমাবাজদের ধরুন

রাজনীতি হলো রাষ্ট্র পরিচালনার তত্ত্ব। রাজনীতির সঙ্গে মেধা ও মননশীলতার সম্পর্ক সহজেই বোধগম্য। পক্ষান্তরে সন্ত্রাসের সঙ্গে অপরাধ বৃত্তির যোগসূত্র একটি স্বতঃসিদ্ধ বিষয়। রাজনীতির সঙ্গে সন্ত্রাসের দূরতম সম্পর্ক না থাকলেও অপরাজনীতি ও সন্ত্রাস হাত ধরাধরি করে চলে সর্বত্র। আমাদের দেশ থেকে সত্যিকারের রাজনীতি নির্বাসিত হয়ে পড়ছে ক্রমান্বয়ে। অপরাজনীতির উপাসকদের হাতে চলে যাচ্ছে রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ। ফলে রাজনীতির সঙ্গে সন্ত্রাসের পার্থক্য খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে উঠছে। নিজেদের গণতন্ত্রী বলে যারা অহরহ দাবি করেন, তারাও আত্দসমর্পণ করে চলেছেন সন্ত্রাসের কাছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম হাতিয়ার সাধারণ ধর্মঘট বা হরতাল পালনে ককটেলের ব্যবহার বেড়েই চলেছে বিপজ্জনকভাবে। পেট্রল বোমা, গান পাউডারের ব্যবহারও চলছে যথেচ্ছভাবে। জনগণকে হরতাল পালনে বাধ্য করার জন্য এগুলোর যথেচ্ছ ব্যবহারও চলছে। সন্দেহ নেই নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন একটি জনপ্রিয় দাবি। দেশের ৬০ শতাংশেরও বেশি মানুষ এ দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল। কিন্তু সাধারণ মানুষের সমর্থনধন্য নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিও কলুষিত হয়ে উঠেছে বোমাবাজদের কারণে। জনগণকে ভয় দেখানোর জন্য যারা ককটেল, পেট্রল বোমা ও গান পাউডার ছুড়ে মানুষের জীবন কেড়ে নিচ্ছে তারা রাজনীতির কেউ- এমনটি ভাবা রাজনীতির জন্য অবমাননার শামিল। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, সরকার বোমাবাজদের হাত থেকে নাগরিকদের জানমাল রক্ষায় ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। বিস্ফোরক বেচাকেনা বন্ধে তাদের ব্যর্থতা দেশবাসীর জন্য বিড়ম্বনা ডেকে আনছে। জননিরাপত্তার স্বার্থে এ ব্যাপারে সরকারকে কঠোর হতে হবে। বিস্ফোরক বেচাকেনা ও ব্যবহারের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত এবং বিচারের জন্য আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

সর্বশেষ খবর