সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা
খোলা কলাম

বেগম জিয়া কি শাসকলীগের \\\'কাঙালিভোজে\\\' যাবেন?

কাজী সিরাজ

বেগম জিয়া কি শাসকলীগের \\\'কাঙালিভোজে\\\' যাবেন?

বরফ তো নয়, যেন পাথর। হঠাৎ মনে হলো- না, বরফই। এই বুঝি গলতে শুরু করবে আর বরফ গলা পানিতে আবারও সজীব হয়ে উঠবে শুষ্ক মাঠ-ঘাট-প্রান্তর। প্রাণের জোয়ার জাগবে সর্বত্র। দুই শীর্ষ নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেজা জিয়া অবশেষে বহুল প্রত্যাশিত সেই ফোনালাপ করলেন। কিন্তু তারপর মনে হচ্ছে, গলা তো দূরের কথা, বরফ যেন আরও বেশি করে জমাট বেঁধে গেছে। সংঘর্ষপ্রবণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি আর বুঝি সামাল দেওয়া গেল না!

জাতীয় রাজনীতিতে এখন প্রধান আলোচ্য বিষয়ই হচ্ছে দেশের বর্তমান প্রধান দুই দলের মধ্যে সংলাপ ও সমঝোতা। আগামী (দশম) জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সংবিধান নির্দেশিত সময়সীমা যত এগিয়ে আসছে সংলাপ-সমঝোতার বিষয়টিও তত গুরুত্ব পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব ও বিরোধীদলীয় নেতার নির্দলীয় সরকারের প্রস্তাব ও রূপরেখা উপস্থাপনের পর দুটি প্রস্তাব থেকে গ্রহণ-বর্জন করে উভয়পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য একটা সরকার ব্যবস্থার ব্যাপারে সরকারি ও বিরোধী পক্ষ একমত হবে এই প্রত্যাশা সর্বমহল থেকেই ব্যক্ত হয়েছে। সবারই আশা ছিল, এ উদ্দেশ্যে উভয়পক্ষ আলোচনা-সংলাপের মাধ্যমে একটা সমঝোতায় পেঁৗছবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের লীগ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফকে লেখা চিঠি এবং দুজনের মধ্যে সহাস্য ফোনালাপ এমন আশাবাদই জাগিয়েছিল যে, এবার একটা কিছু হবে। রাজনৈতিক হানাহানি, রক্তারক্তি বন্ধ হবে, নাগরিক জীবনে শান্তি ও স্বস্তি ফিরে আসবে। প্রায় দুই সপ্তাহ শাসকলীগের নিরুত্তর নীরবতায় মানুষ যখন হতাশ, তখনই সম্ভবত ২১ অক্টোবর শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে সরাসরি ফোনালাপ করবেন। আবার আশা জাগল। কিন্তু এর মধ্যে সরকারের বিরোধী দলকে দমন-পীড়ন বন্ধ থাকল না। প্রধানমন্ত্রী ১৮ অক্টোবর তার সর্বদলীয় নির্বাচনকালীন সরকার এবং এর রূপরেখা ঘোষণার একদিন পরই ঢাকা শহরে সভা-সমাবেশ-বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হলো। ২৫ অক্টোবর বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট সমাবেশের অনুমতি চাইল। প্রথমে সরকার অনুমতি দিল না। কেউ হয়তো বলবেন, অনুমতি তো সরকার দেয় না; পুলিশ দেয়। মানুষ এটা বোঝে। সরকারের ইচ্ছা-অনিচ্ছার বাইরে পুলিশের যে কিছু করার নেই এটা সবাই জানেন। এই পুলিশ এর আগে বর্তমান শাসক দলের সঙ্গেও একই আচরণ করেছে বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে। সরকার যা চায় আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সে অনুযায়ীই কাজ করে। ১৮ দলীয় জোটকে ২৫ অক্টোবরের সভার অনুমতি দেওয়া হয় ২৪ অক্টোবর। এর আগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের ঘোষিত সভার একই দিন ২৫ অক্টোবর আওয়ামী লীগও ঢাকায় সমাবেশ ডাকে। অনেকটা পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া বাধানোর মতো। ঢাকাতেই নয়, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলায়ও সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কোথাও জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। যেন অঘোষিত জরুরি অবস্থা! এরই মধ্যে ২৫ অক্টোবর সকাল থেকে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের স্ক্রলে দেখা যায়, 'একটু পরই প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলীয় নেতাকে ফোন করবেন।' আবারও মানুষের মনে আশা জাগানো হয়। কিন্তু মিনিট যায়, ঘণ্টা যায়, দিন যায়, বিরোধীদলীয় নেতার কাছে প্রধানমন্ত্রীর ফোন আর আসে না। ফোন এলো পরদিন সন্ধ্যায়। ততক্ষণে পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ২৫ তারিখের জনসভা থেকেই বিরোধীদলীয় নেতা ৬০ ঘণ্টার টানা হরতাল ঘোষণা করেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, বিরোধীদলীয় নেতাকে জনগণের কাছে বিব্রত করার কৌশল হিসেবেই প্রধানমন্ত্রী ফোন করতে বিলম্ব করেছেন। তিনিও এক সময় বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে তিনিও দিনের পর দিন অনেক হরতাল, অবরোধ, অসহযোগ করেছেন। তিনি অপেক্ষা করেছিলেন বেগম জিয়ার হরতাল আহ্বানের জন্য। হরতাল ডেকে ফেলার পর তিনি হরতাল প্রত্যাহারের জন্য বিরোধী দলের নেতাকে অনুরোধ করে বেকায়দায় ফেলতে চেয়েছেন; জনগণকে বোঝাতে চেয়েছেন তিনি শান্তি চান, সমঝোতা চান, তাই হরতাল তুলে নিয়ে নৈশভোজে এসে সমঝোতায় আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়াকে; কিন্তু তিনি কথা রাখলেন না। কিন্তু এই সময়ে যে এ কথা রাখা যায় না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্যই তা জানেন। '৯১-৯৬ এবং ২০০১-২০০৬ মেয়াদে বেগম খালেদা জিয়ার এমন অনেক অনুরোধই তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। পর্যবেক্ষকরা এটাকে প্রধানমন্ত্রীর একটি রাজনৈতিক কৌশল বলেই মনে করেন। কিন্তু তাতে তিনি লাভবান হয়েছেন বলে মনে হয় না।

টেলিফোনে তিনি যেভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অনেক পর্যবেক্ষকই মনে করেন তা শোভন হয়নি। সামাজিক মাধ্যমে কবি সাযযাদ কাদির মন্তব্য করেছেন, 'সমঝোতার জন্য আমন্ত্রণ না আক্রমণ!' প্রথমেই তিনি বিতর্ক শুরু করেন লাল টেলিফোন নিয়ে। বলেছেন, তিনি লালফোনে কল দিয়েছিলেন, রিং হয়েছে কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া তা ধরেননি। বিরোধীদলীয় নেতা বলেছেন, ওই ফোন ডেড, কোনো কল আসেনি। কথাটা সেখানে শেষ হয়ে যেতে পারত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তা করেননি। এ নিয়ে তিক্ত কিছু কথা কাটাকাটি হয়েছে। বিরোধীদলীয় নেতা পরে সাংবাদিকদের ফোনটি দেখিয়েছেন যে, তা সত্যিই বিকল। পরে ২৯ অক্টোবর রাতে ফোনটি সচল হয়েছে বলে মিডিয়ায় খবর এসেছে। প্রমাণ হয়ে গেল বিরোধীদলীয় নেতার লালফোন দীর্ঘদিন বিকল ছিল বা বিকল করে রাখা হয়েছিল। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার খবর অবশ্য মিডিয়ায় এখনো আসেনি। এর পর বেগম খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট কেন জন্মদিন পালন করেন এই প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করেন বলে বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের চাবুক হানা হয়। তারপর দেওয়া হয় ২৮ অক্টোবর নৈশভোজের আমন্ত্রণ। অনেকটা 'জুতা মেরে গরু দান' প্রবাদের মতো হয়ে গেল না ব্যাপারটা? ৩৭ মিনিটের সংলাপের প্রায় পূর্ণ বিবরণই গণমাধ্যমে এসেছে।

প্রশ্ন উঠেছে, দুই নেত্রীর টেলিফোনের এই কথোপকথন পাবলিক করা অর্থাৎ জনসম্মুখে প্রকাশ ও প্রচার করা নৈতিকতা ও আইনের দিক থেকে সঠিক হয়েছে কি-না? আইন বিশেষজ্ঞ ড. শাহ্দীন মালিকসহ অনেকেই বলছেন, এটা ঠিক হয়নি, এতে আইনের ও সংবিধানের ব্যত্যয় ঘটেছে। আমাদের সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদে যোগাযোগের গোপনীয়তা রক্ষার নির্দেশনা রয়েছে। ওই অনুচ্ছেদের (খ) উপ-অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- 'প্রত্যেক নাগরিকের চিঠিপত্রের ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার থাকিবে।' তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৬৩ (১) ধারায় বলা হয়েছে- 'এই আইন বা আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে ভিন্নরূপ কোন কিছু না থাকিলে, কোন ব্যক্তি যদি এই আইন বা তদন্তাধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের কোন বিধানের অধীনে কোন ইলেক্ট্রনিঙ্ রেকর্ড, বই, রেজিস্ট্রার, পত্র যোগাযোগ, তথ্য, দলিল বা অন্য কোন বিষয়বস্তুতে প্রবেশাধিকারপ্রাপ্ত হইয়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সম্মতি ব্যতিরেকে কোন ইলেক্ট্রনিঙ্ রেকর্ড, বই, রেজিস্ট্রার, পত্র যোগাযোগ, তথ্য, দলিল বা অন্য কোন বিষয়বস্তু অন্য কোন ব্যক্তির নিকট প্রকাশ করেন, তাহা হইলে তার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ।' এই ফোনালাপ প্রকাশ ও প্রচারে বিরোধীদলীয় নেতার কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতার এই বহুল আলোচিত-সমালোচিত ফোনালাপ বিস্তারিতভাবে প্রকাশের আগে তথ্যমন্ত্রী ও সাবেক গণবাহিনী নেতা হাসানুল হক ইনু কী করে বলতে পারলেন, এই ফোনালাপের বিষয় জনসম্মুখে প্রকাশ করা উচিত! প্রকাশ হওয়ার পর যদিও তিনি বলেছেন, এটি সরকার প্রকাশ করেনি, কিন্তু প্রকাশ হওয়াটা তিনি জাস্টিফাই করছেন ও বলেছেন এটা জানার অধিকার জনগণের আছে।

দুই নেত্রীর ফোনালাপ কোথা থেকে রেকর্ড হতে পারে এটা একজন বালকও এখন জানে এবং বোঝে। এটাও জানা কথা যে, তা বিরোধীদলীয় নেতার বাসা থেকে হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সরকারি উদ্যোগ ও ইচ্ছাতেই ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কর্তৃপক্ষ বা কোনো গোয়েন্দা সংস্থা বা কোনো বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ কাজটি করেছে বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ আছে। তা না হলে ওই মোবাইল ফোন কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বা ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহি করতে হতো, তাদের আইনের হাতে সোপর্দ করে বিচারের সম্মুখীন করা হতো। সরকারই যে কাজটি করিয়ে থাকতে পারে সে ব্যাপারে সন্দেহের কারণ প্রধানত দুটি।

এক. একটি নৈশভোজে দাওয়াতের (সংলাপের জন্য) ফোনকল ৩৭ মিনিট দীর্ঘ হলো কেন? চার-পাঁচ মিনিটই যথেষ্ট ছিল। অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ সংলাপেও তো এত সময়ক্ষেপণ করা হয় না। প্রধানমন্ত্রীর আলাপের সময় শাসকলীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের বেশক'জন সিনিয়র নেতা উপস্থিত ছিলেন এবং সেখানে টিভি ক্যামেরাও ছিল। দুই. প্রধানমন্ত্রী বেশ শান্ত ছিলেন, যা এরকম ব্যাপারে তার ক্ষেত্রে অতীতে দেখা যায়নি। শান্তভাবে তিনি বিরোধীদলীয় নেতাকে উত্তেজিত করেছেন। মনে হয়েছে, আগে থেকে এ জন্য তিনি প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কথোপকথনটি রেকর্ড করা হবে এবং তা পরে জনগণকে শুনিয়ে বিরোধীদলীয় নেতাকে জব্দ করা যাবে- এমন একটি পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ীই সব হয়েছে বলে মনে হলো। ফোনালাপ প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং 'অনেক অপমান সহ্য করেছি' বলে জনগণের কাছে নালিশের সুরে যে কথা বলেছেন তা থেকেও এমন সন্দেহ কারও মনে জাগতে পারে। বেগম খালেদা জিয়া কথোপকথনে কিছুটা আক্রমণাত্দক ছিলেন যার কোনো যুৎসই জবাব প্রধানমন্ত্রী দিতে পারেননি; কিন্তু অপমানজনক কোনো কথা যে বেগম খালেদা জিয়া বলেননি তা বিস্তারিত ফোনালাপটা পড়লেই স্পষ্ট হয়। তবে একটা বিষয় অত্যন্ত পরিষ্কার যে, টেলিফোন আলোচনায় দুজনের কাউকেই সমঝোতার ব্যাপারে পুরোপুরি আন্তরিক বলে মনে হয়নি। দুজনের কেউ কারও কাছে হারতে চাননি, দুজনই জিততে চান। কেউ তাদের 'রাজনৈতিক অবস্থান' পরিবর্তন করেননি, বিভিন্ন সময়ে রণকৌশল পাল্টাচ্ছেন। ফোনালাপের বিষাক্ত ছোবল সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতার সম্ভাবনাকেই সংকটাপন্ন করে তুলেছে। শাসকলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম যদিও বলেছেন আমন্ত্রণ অব্যাহত আছে; কিন্তু সম্মানজনকভাবে যথানিয়মে আমন্ত্রণ না জানালে সরকারের এরকম 'কাঙালিভোজে' বিরোধী দল যাবে বলে মনে হয় না। দেশি-বিদেশি চাপে ও উদ্যোগে কোনো সংলাপ হলেও তা লোকদেখানো সংলাপ হবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, ওই ধরনের সংলাপে জনগণের কাঙ্ক্ষিত কোনো সমঝোতা হওয়ার লক্ষণ নেই। এটা স্পষ্ট যে, একদলীয় নির্বাচনের পথেই হাঁটছে সরকার। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের আচরণে তা-ই সত্য বলে মনে হচ্ছে। বিরোধী দলও চাইছে, টেবিলে নয়, রাজপথেই সবকিছুর ফয়সালা করতে। দুই দল, দুইপক্ষের ক্ষমতার খেলায় জনগণ এখন জিম্মি। ৬০ ঘণ্টার হরতালে ২১টি অমূল্য প্রাণ অকালে ঝরে গেছে। আজ থেকে আবার তিন দিনের হরতাল ডেকেছে বিরোধী দল। এই কয়দিনে আরও কত নিরীহ মানুষ এভাবে বলি হবে কে জানে! মানুষের প্রাণ যায়, আর ওনারা একে অপরের বিরুদ্ধে ব্লেমগেম খেলেন। কিন্তু আর কত? ক্ষমতার বাজিতে, নষ্ট রাজনীতির কলুষতায় হানাহানি, রক্তারক্তির বিভীষিকাই ওয়ান-ইলেভেনের মতো পরিস্থিতি ডেকে আনে। কখনোবা সৃষ্টি হয় ৭ নভেম্বরের মতো সাড়াজাগানো অভ্যুত্থান। দুই দল, দুই নেত্রীর কারণে এবারও কি তেমন কিছুই এ জাতির ভাগ্য লিখন?

লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

 

 

সর্বশেষ খবর