সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

অনিশ্চিত গন্তব্য নয়, চলতে হবে গণতন্ত্রের পথে

হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ

অনিশ্চিত গন্তব্য নয়, চলতে হবে গণতন্ত্রের পথে

নানা উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও আতঙ্কের মধ্যেও কয়েক দিন ধরে সারা দেশে এক অভাবনীয় সাড়া পড়েছিল প্রধানমন্ত্রীর ও বিরোধীদলীয় নেতার টেলিফোনালাপের সংবাদ শুনে। মানুষ হয়তো ভেবে নিয়েছিল, এবার রাজনৈতিক ব্যবস্থায় দুর্যোগের কালো মেঘ কেটে যাবে। দীর্ঘদিন ধরে যে সংকট অনিশ্চয়তা ও অচলাবস্থা বিরাজ করছে তা দূরীভূত হয়ে একটা নিশ্চিত গন্তব্যের দিকে যাত্রা শুরু করবে দেশ। আগামী জাতীয় নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে যে মুখোমুখি অবস্থান বিরাজ করছে তা তিরোহিত হয়ে শান্তি ও সহাবস্থানের পরিবেশ নিশ্চিত হবে। নির্বাচনকালীন সরকার গঠন পদ্ধতি নিয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে হয়তো যৌক্তিক সমাধানে পৌঁছনো যাবে- সবাই আশান্বিত হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে উভয় নেতার টেলিফোনালাপের বিষয়বস্তু ও আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় তাদের মধ্যকার অনুষ্ঠিত প্রতীক্ষিত সংলাপ আর বেশি দূর পর্যন্ত অগ্রসর হয়নি। অতঃপর ১৮ দলীয় জোটের তিন দিনের হরতাল, সহিংসতা ও ২০ জন মানুষের অকালপ্রয়াণ রাজনৈতিক ব্যবস্থায় আবার এক সংঘাতময় অবস্থার সৃষ্টি করেছে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক জাতির উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণের মূল কথা ছিল, সব দলের অংশগ্রহণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য করার জন্য নাম আহ্বান। এ ভাষণে তিনি বিরোধী দলের দাবি-দাওয়া সংসদে এসে বলার জন্য এবং প্রয়োজনে নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি নিয়ে আবারও মুলতবি প্রস্তাব উত্থাপনের অনুরোধ করেন। উপরন্তু বিরোধী দলের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে জনগণের জানমালের ক্ষতি না করে, কোরআন শরিফ না পুড়িয়ে, মসজিদে আগুন না লাগিয়ে, নিরীহ পথচারী আর গরিব বাস ড্রাইভারদের পুড়িয়ে না মেরে, ছুরি-দা-খন্তা-কুড়াল দিয়ে মানুষ মারার নির্দেশ না দিয়ে শান্তি ও ঐক্যের পথে থেকে দেশ ও জাতির কল্যাণে নিবেদিত থাকার অনুরোধ করেন। ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলাম কখনোই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অনুমোদন দেয় না ইত্যাকার বিষয় তার ২২ মিনিটের ভাষণে অন্তর্ভুক্ত ছিল।

অন্যদিকে বিরোধী দলের যে দাবি তা হলো, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের অধীনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা। যেখানে মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। যে দাবিটা মূলত আওয়ামী লীগেরই। যা তারা বিরোধী দলে থাকার সময় করেছিল। সেই একই দাবি করছে বিরোধী দল তথা বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোট। প্রধান বিরোধী দলসহ ১৮ দলীয় জোট তাদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের রূপরেখায় ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্য থেকে বর্তমান সরকারি দল পাঁচজন ও বিরোধী দল পাঁচজন সদস্যের নাম উপদেষ্টা হিসেবে এবং উভয় দলের আলোচনার মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য একজন সম্মানিত নাগরিককে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা করার বিধানসম্বলিত একটি প্রস্তাব জাতির সামনে তুলে ধরেন এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত ভাষণের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে একই প্রস্তাব আবার সংসদে উপস্থাপন করেন। কিন্তু সেখানেও বিরোধী দলের দাবির প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও গ্রহণযোগ্য সমাধানের ইঙ্গিত না দেওয়ায় তারা সংসদ থেকে ওয়াকআউট করে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরেন।

স্মরণযোগ্য, আওয়ামী লীগ এই দাবি আদায় করতে ১৯৯৬ সালে ১৭৩ দিন হরতাল করেছিল। সে সময় অসহযোগ আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও, ব্যাপক বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড করে জনগণের জানমালের ক্ষতিসহ হোটেল শেরাটনের সামনে একটি বাসে গানপাউডার ছিটিয়ে আগুন দিয়ে প্রায় ১২ জনের মতো নিরীহ সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। আজকে কোরআন শরিফ পোড়ানোর কথা, মসজিদে আগুন দেওয়ার কথা উচ্চকণ্ঠে বার বার বলা হচ্ছে অথচ এই ভিডিও ফুটেজগুলো দিয়ে এখন পর্যন্ত প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি বিরোধী দলের সম্পৃক্ততা এই জঘন্য কাজটিতে আছে কিনা। ছুরি-দা-খন্তা-কুড়াল দিয়ে মানুষ মারার বিষয়টি ফলাও করে বলা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ যদি আবার লগি-বৈঠার তাণ্ডব শুরু করে তাহলে জনগণের বা দলীয় কর্মীদের জীবন রক্ষার্থে দা-খন্তা-কুড়াল ব্যবহারের মাধ্যমে তার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে মর্মে সাদেক হোসেন খোকা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আবেগে তাড়িত হয়ে এ ধরনের রাজনৈতিক বক্তব্য সবার পরিহার করা সমীচীন। এ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত ৫,৭০০ নির্বাচনের প্রত্যেকটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে এবং এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ওপর সরকারের কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ ছিল না বলে বার বার প্রচার করা হলেও যুক্তির খাতিরে এ বিষয়ে বলতে গেলে বলা যায়, গত বিএনপি বা চারদলীয় সরকারের সময়ও স্থানীয় পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভাসহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলো অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে, কোনো অনিয়ম-কারচুপি ধরা পড়েনি। ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই জয়ী হয়েছিল। কার্যত জাতীয় নির্বাচন ও স্থানীয় নির্বাচন এক কথা নয়। তাছাড়া কঠিন-কঠোর ও বিধিবদ্ধ আইন কাঠামো প্রণয়নের মাধ্যমে শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ একটা নির্বাচন কমিশন সরকার আজ পর্যন্ত গঠন করেনি। তাই জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সরকারের নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

স্মর্তব্য, আওয়ামী লীগ দিনবদলের সনদ নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, গতানুগতিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন সাধনে ইতিবাচক সহিষ্ণু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের কথা দিয়েছিল এবং এতে নতুন প্রজন্ম উদ্বুদ্ধ হয়ে তাদের ভোট দিয়েছিল। পরবর্তীতে পৌনে পাঁচ বছরের সরকার পরিচালনা জনগণকে নিদারুণভাবে হতাশ করেছে। বিশেষ করে সর্বত্র দুর্নীতির রাহুগ্রাস, বিচার বিভাগ, পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনে ব্যাপক দলীয়করণ, গুপ্তহত্যা, অপহরণ, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে পদ্মা সেতু, হলমার্ক, রেল কেলেঙ্কারি, ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাস, তাণ্ডব, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি জাতিকে হতাশ করেছে। অন্যদিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে প্রধান বিরোধী দলের দলীয় কার্যালয়ে কমান্ডো স্টাইলে হামলাসহ সব দলীয় প্রধান প্রধান নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে শত শত মামলা দিয়ে জেলে পুরে রাখা; শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ তথা গণতান্ত্রিক আচার-আচরণ প্রতিপালনে বাধা দেওয়া থেকে শুরু করে নিপীড়ন ও নির্যাতন করা হচ্ছে। বস্তুত উলি্লখিত সংকটকালীন অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ও তার প্রতিক্রিয়ায় বিরোধীদলীয় নেত্রীর সংবাদ সম্মেলনসহ বিকল্প প্রস্তাব, উভয়ের মধ্যকার টেলিফোনালাপ এবং তৎপরবর্তী সহিংস রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড আগামী নির্বাচনকে আবার এক অচলায়তনের গহ্বরে নিমজ্জিত করে সরকার কর্তৃক একতরফা নির্বাচনের দিকে ধাবিত হচ্ছে মর্মে আজ দেশের মানুষ মনে করছে। আজকের রাজনীতি ও নির্বাচন প্রশ্নে মূল সংকটের কারণও এখানে নিহিত। যা সরকার কোনোভাবেই আমলে নিচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে সাম্প্রতিককালে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত সংলাপে বিশিষ্টজনের সবাই একসুরে বলেছেন, সংবিধানের একতরফা সংশোধনীর কারণে আজকের এই মূল সমস্যাটি তৈরি হয়েছে ও রাজনৈতিক সংঘাতের জন্ম দিয়েছে। তারা সংবিধানের ১৫তম সংশোধনীকে নিকৃষ্ট বলে অভিহিত করে আরও বলেছেন, দেশের মানুষ একতরফা নির্বাচন কোনোভাবেই মেনে নেবে না। এমনকি দলীয় সরকারের অধীনেও কেউ নির্বাচনে যাবে না। এ কথা সর্বজনবিদিত যে, সংসদে ব্রুট মেজরিটির জোরে নিজের ক্ষমতার জোরে সংবিধান সংশোধন করে নিজ নিজ মতবাদ, আদর্শ, কৃষ্টি, নিরবচ্ছিন্নভাবে অন্যদের ওপর চালানো যায় না। এমনকি একক নেতৃত্বের মতানুযায়ী সংবিধান সংশোধন করে কখনো গণতন্ত্রকামী সার্বিক মানুষের ওপরও চাপিয়ে দিয়ে বলা যায় না, এটা দেশের অধিকাংশ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার বাস্তব প্রতিফলন। তাছাড়া সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার উঠিয়ে দেওয়া হবে মর্মে কোনো ঘোষণা বা কথা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল না।

সার্বিক প্রেক্ষিত বিবেচনায় বর্তমান অসুস্থ রাজনীতি থেকে পরিত্রাণ পেতে উভয় নেত্রীর টেলিফোনালাপকে স্বাগত জানিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মোজেনাসহ অনেক বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে ইতিবাচক আখ্যায়িত করে রাজনৈতিক সমঝোতার প্রশ্নে উভয় দলের মধ্যে আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে এবং একটা গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ হবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব ফারনানদেজ তারানকো চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানের জন্য প্রধান দুই দলের মহাসচিব পর্যায়ে টেলিফোন কথোপকথনে উভয় দলের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা হয়ে সংকট উত্তরণের পথ বের হবে মর্মে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। দেশের রাজনৈতিক নিয়ামকগুলো এত দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে এবং সরকার ও বিরোধীদের নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে দুই ধরনের প্রস্তাব করায় বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনে সাধারণ মানুষ তাদের ভোটাধিকার সুষ্ঠু ও সুন্দর মতো প্রয়োগ করতে পারবে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়। যদিও প্রধানমন্ত্রী তার কেবিনেট সভায়, দেশের জন্য তিনি সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকার করতে প্রস্তুত এবং বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে টেলিফোনালাপ উভয় দলের মধ্যে সংলাপের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে বলে সুশীল সমাজের কেউ কেউ মনে করলেও উভয় নেত্রীর মধ্যে দায়িত্বশীল আচরণের ঘাটতি রয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। তথাপিও দেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্রের স্বার্থকে সমুন্নত করার অভিপ্রায়ে উভয় দলের আত্দশুদ্ধি ও আত্দসমালোচনা প্রয়োজন। যার মাধ্যমে গণতন্ত্রের পথচলাকে নির্বিঘ্ন করা যেতে পারে। জাতি অচিরেই বর্তমান রাজনৈতিক সংকট থেকে মুক্তি পেতে পারে। কেননা জনমতকে উপেক্ষা করলে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতা বাড়বে বই কমবে না। দেশ ও জাতির স্বার্থে রাজনৈতিক সংঘাত, হানাহানি এড়ানো প্রয়োজন। আবার সব দলের অংশগ্রহণে একটা অবাধ-সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার রদবদল হওয়াও একান্ত জরুরি। তবে সেক্ষেত্রে রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামের বদলে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এই সংকট সমাধানে যুক্তিগ্রাহ্য সিদ্ধান্তে উপনীত হতে না পারলে দেশ এক অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে ধাবিত হবে; বহুল পরীক্ষিত গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎও মুখ থুবড়ে পড়বে। যা কারও জন্য শুভ হবে না। তাই আলোচনার জন্য আর কালক্ষেপণ নয়। কালক্ষেপণ মানেই জীবনহানি, সম্পদ বিনষ্ট, যা এর মধ্যে ঘটতে শুরু করেছে।

সর্বোপরি এদেশের মানুষ সম্প্রদায়গত বিভাজন চায় না বরং ঐক্যের মধ্য থেকে একটা সমৃদ্ধ ও আলোকিত দেশ চায়। যারা শুধু অতীতাশ্রয়ী না থেকে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে আগ্রহী। কেননা উভয় রাজনৈতিক দলে বিজ্ঞ-প্রাজ্ঞ ও বিচক্ষণ রাজনীতিক রয়েছেন। তারা দলীয় সীমাবদ্ধতা থেকে বেরিয়ে বিবেক দিয়ে দেশবাসীর ইচ্ছাকে আমলে নিয়ে ঔদার্যের সঙ্গে আপস-মীমাংসায় পেঁৗছবেন। রাজনীতির অন্ধকারাচ্ছন্ন আকাশে সংলাপ বিষয়ে যে আলোর দ্যুতি দেখা দিয়েছে সে আলোকবর্তিকার পথেই হাঁটবেন তারা। যার মাধ্যমে নিশ্চিত হবে সবদলের অংশগ্রহণে একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার রদবদল। শক্তিশালী হবে গণতন্ত্র। যা দেশের দুই প্রধান নেত্রীর হাত ধরেই এগিয়ে যাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

লেখক : চেয়ারম্যান, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি।

ই-মেইল : [email protected]

 

 

 

সর্বশেষ খবর