রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০১৪ ০০:০০ টা

স্থবিরতা কাম্য নয়

চাঞ্চল্যকর শতাধিক মামলার তদন্ত হয় বন্ধ নতুবা স্থবিরতার শিকার হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে এমন মামলাও রয়েছে যার সঙ্গে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের স্পর্শকাতরতাও জড়িত। এসব মামলার কোনোটিতে হয়তো তদন্ত কর্মকর্তা নেই। কোনোটির সাক্ষীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে মামলাগুলো ফাইল চাপা পড়ে আছে পুলিশ, র্যাব, সিআইডি অথবা ডিবি অফিসে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে পুলিশের ঊধর্্বতন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক সহিংসতা দমনে ব্যস্ত থাকায় পুলিশের পক্ষে অপরাধ দমন বা তদন্তে সময় ব্যয় করা কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা কিংবা পুলিশ

সদস্য হত্যাকাণ্ড তদন্তেও যে কারণে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে। এর সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের সংবেদনশীলতা জড়িত থাকলেও তাদের করার কিছু নেই। চাঞ্চল্যকর শতাধিক মামলার তদন্ত থেমে থাকায় পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সুনাম প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। জনমনে পুলিশের যোগ্যতা এবং কর্মনিষ্ঠা সম্পর্কে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে। তাদের সীমাবদ্ধতার বিষয়টি প্রায় ক্ষেত্রেই এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। শান্তিশৃঙ্খলার স্বার্থে পুলিশ যাতে অপরাধ দমনে সময় দিতে পারে এমন সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। প্রয়োজনে রাজনৈতিক সহিংসতা দমনে বিশেষ বাহিনী গঠনের কথা ভাবা যেতে পারে। পুলিশ রাজনৈতিক সহিংসতা দমনে ব্যস্ত থাকবে আর এ সুযোগে পেশাদার অপরাধীরা যা ইচ্ছা তাই করে বেড়াবে এটি কাঙ্ক্ষিত

হতে পারে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজনৈতিক সংকট রাজনৈতিকভাবে

মীমাংসার উদ্যোগ নিতে হবে। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পুলিশকে যে সময় ব্যয় করতে হচ্ছে সে দুর্ভোগ থেকে তাদের রেহাই দিতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যত্যয়

হলে দেশ অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে। তারা যা ইচ্ছা তাই করার সুযোগ পাবে। এমনকি পুলিশ সদস্যদের হত্যা করেও পার পেয়ে যাবে।

জনমনে পুলিশ তথা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ভাবমূর্তি আরও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে। যা কাম্য হওয়া উচিত নয়।

সর্বশেষ খবর