বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ০০:০০ টা

ওদের প্রতিহত করুন-

অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়া কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না। সোনালি জীবনের হাতছানিতে মালয়েশিয়ার পথে সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে ট্রলার ডুবিতে প্রাণ হারিয়েছেন বিপুলসংখ্যক মানুষ। অবৈধভাবে প্রবেশের দায়ে মালয়েশিয়ায় কারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এমন লোকের সংখ্যাও কম নয়। কিন্তু তারপরও বন্ধ হচ্ছে না অনিশ্চিতের পথে পা বাড়ানো। ট্রলার ডুবিতে অপমৃত্যু কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার পর কারাবাসের ভয় উপেক্ষা করে প্রায়ই কঙ্বাজার উপকূল থেকে মালয়েশিয়ামুখী ট্রলার ছাড়ছে। এ সব ট্রলারে যারা মালয়েশিয়া যাচ্ছে তাদের মধ্যে রোহিঙ্গাদের সংখ্যাও বিপুল। মালয়েশিয়ায় ধরা পড়লে তারা নিজেদের বাংলাদেশি বলে পরিচয় দিচ্ছে। সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ডের দায়ে মালয়েশিয়ায় যে সব কথিত বাংলাদেশি ধরা পড়ে তাদের এক বড় অংশ মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা নাগরিক। সহযোগী দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক মানুষ সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাচ্ছে। মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে পুলিশ, র্যাব ও কোস্টগার্ডের হাতে এ পর্যন্ত বিপুলসংখ্যক লোক আটক হয়েছে। অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে মালয়েশিয়ার কারাগারে আটকের সংখ্যাও কম নয়। মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পথে প্রায়ই ট্রলার ডুবে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও থাই নৌবাহিনীর হাতে আটক হয়ে নিগৃহীত হওয়ার ঘটনা অহরহ ঘটছে। প্রাণহানিসহ বিপদের ঝুঁকি সত্ত্বেও সংঘবদ্ধ দালালচক্র স্বপ্ন দেখিয়ে লোকজনকে প্রলুব্ধ করছে। সাগরপথে মালয়েশিয়ায় নেওয়ার নামে হাতড়ে নিচ্ছে জনপ্রতি দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। প্রথমে ২০ অথবা ৩০ হাজার টাকা নিয়ে বাদবাকি টাকা স্বজনদের কাছ থেকে ব্লাকমেইলিং করে আদায় করা হয়। মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে লোক পাঠানোর প্রক্রিয়া বৈধভাবে জনশক্তি রপ্তানিতে বাধা সৃষ্টি করছে। দেশের ভাবমূর্তিও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ছে। এ অবস্থার অবসানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও তৎপর হতে হবে। অবৈধভাবে মালয়েশিয়া গমনে ব্যবহৃত ট্রলার আটকই শুধু নয়, এর মাঝিমাল্লা এবং আদম ব্যবসার হোতাদেরও শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

 

সর্বশেষ খবর