রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৪ ০০:০০ টা
ধর্ম

নেক আমলের ফজিলত

মুফতি আবদুর রশিদ তত্ত্ববাদী

নেক আমলের ফজিলত

কোরআনে কারিমে আছে, যে একটি নেক আমল করবে তাকে ১০টি পুণ্য দান করা হবে। তার একটি জ্বলন্ত ঘটনা খলিফাতুল মুসলিমীন হজরত আলীর (রা.) জীবনীতেও পাওয়া যায়।

একবার হজরত আলী (রা.) ও ফাতেমা (রা.)সহ পরিবারের সবাই উপবাসে দিন কাটাচ্ছিলেন। ক্ষুধার তাড়নায় কোনো উপায় না দেখে হজরত ফাতেমা (রা.) পিতা নবী করীম (সা.)-এর দেওয়া চাদরখানা হজরত আলী (রা.)-এর কাছে দিয়ে বিক্রি করার জন্য বললেন। হজরত আলী (রা.) চাদরখানা নিয়ে বাজারে গিয়ে ছয় দিরহামের বিনিময়ে বিক্রি করে দিলেন। পথিমধ্যে একজন ভিক্ষুক হজরত আলী (রা.)-এর কাছে কিছু চাইলে তাকে এক দিরহাম দিয়ে দিলেন। এভাবে পর পর ছয় ভিক্ষুককে ছয়টি দিরহাম দিয়ে তিনি শূন্য হাতে বাড়ি রওনা হলেন। হঠাৎ একজন লোক একটি ঘোড়া নিয়ে এসে হজরত আলী (রা.)-এর কাছে বিক্রি করার আগ্রহ প্রকাশ করলেন। হজরত আলী (রা.) পরে টাকা পরিশোধ করবেন বলে ঘোড়াটি ১৪০ দিনারের বিনিময়ে ক্রয় করলেন। অতঃপর ২০০ দিনারে তা বিক্রি করে ১৪০ দিনার পাওনাদারকে দিয়ে দিলেন। অবশিষ্ট ৬০ দিনার হাতে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন। লক্ষণীয় বিষয় হলো, হজরত আলী (রা.) ছয় দিনার দান করলেন। পরবর্তীতে আল্লাহতায়ালা তার ওয়াদা মোতাবেক একের বিনিময়ে দশ করে ছয় দিনারের বিনিময়ে হজরত আলী (রা.)-কে ৬০ দিনার দান করলেন। ঘটনাটি নবী করিম (সা.)- এর কাছে বলা হলে তিনি মৃদু হেসে বললেন, আলী! তুমি একটি বরকতপূর্ণ ব্যবসা করেছ।

এবার শুনুন রহমতে আলম (সা.) ঘটনাটির ব্যাখ্যা এভাবে দিয়েছেন। হজরত আলী (রা.) আসার আগে আল্লাহতায়ালা ওহির মাধ্যমে তাকে ঘটনাটি জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বললেন, যে তোমার কাছে ঘোড়াটি বিক্রি করেছিলেন তিনি হযরত জিব্রাইল (আ.) ছিলেন। আর যার কাছে তুমি বিক্রি করেছিলে তিনি হজরত মিকাইল (আ.) ছিলেন। আর ওই ঘোড়াটি হলো হজরত ফাতেমা (রা.)-এর জান্নাতের বাহন।

লেখক : খতিব, সারুলিয়া জামে মসজিদ, ঢাকা।

 

 

সর্বশেষ খবর