সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৪ ০০:০০ টা
ধর্ম

সময় যেভাবেই ভাগ করা হোক আল্লাহ সব কিছুর নিয়ন্তা

মাওলানা মুহাম্মদ আশরাফ আলী

চন্দ্র-সূর্য সব কিছুই যেমন আল্লাহর সৃষ্টি তেমনি চন্দ্রবর্ষ বা সৌরবর্ষ- যেভাবেই সময়কে ভাগ করা হোক না কেন, সব কিছুর নিয়ন্তা মহান আল্লাহ। সূরা আম্বিয়ার ৩৩ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করা হয়েছে- '(আল্লাহ হচ্ছেন) তিনিই যিনি সৃষ্টি করেছেন রাত, দিন, চন্দ্র ও সূর্য। এদের প্রত্যেকেই পরিভ্রমণে নিয়োজিত রয়েছে নিজ নিজ কক্ষপথে, নিজস্ব গতিবেগ সহকারে।' এ বিষয়ে সূরা ইয়াসিনের ৩৬ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন- 'সূর্য কখনোই চন্দ্রকে ধরতে পারবে না কিংবা রাত কখনো অতিক্রম করতে পারবে না দিনকে। প্রত্যেকেই পরিভ্রমণে নিয়োজিত নিজ নিজ কক্ষপথে, নিজস্ব গতিবেগ সহকারে।'

মোগল আমলে ফসলি সন হিসেবে বাংলা দিনপঞ্জি তৈরি করা হয় সৌরবর্ষকে সামনে রেখে। সৌরবর্ষীয় এই সন চন্দ্রবর্ষভিত্তিক আরবি হিজরি সনের উত্তরাধিকার। আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। মানুষকে আল্লাহ তাঁর খলিফার মর্যাদা দিয়েছেন। আল্লাহ তাঁর হাবিবকে সৃষ্টি করেছেন মানুষের মধ্য থেকে। মানুষের উচিত আল্লাহ প্রদত্ত সময় অর্থাৎ দিন, রাত ও বছরকে তার নির্দেশিত পথে অতিবাহিত করা। এ বিষয়ে গাইডলাইন রয়েছে পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন সূরায়। সূরা ফাতেহায় সরল পথ পাওয়ার জন্য এবং বিপথগামীদের পথ থেকে রক্ষা পাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এ সূরার ৫-৭ আয়াতে আছে, 'তুমি আমাদের সরল পথ দেখাও, তাদের পথ যাদের তুমি অনুগ্রহ দান করেছ, তাদের পথ নয়- যারা ক্রোধ নিপতিত ও পথভ্রষ্ট।' মানবজাতির সবারই আল্লাহর রহমত যে পথে সেই পথ অনুসরণ করা উচিত। দ্বিতীয় সূরা বাকারার তৃতীয় আয়াতে রয়েছে, 'সৎ জীবিকা থেকে ব্যয় করার আদেশ সৃষ্টিকর্তার।' এ ব্যাপারটি প্রত্যেক মানুষ মেনে চললে পৃথিবীতে একটি সুষম সমাজ গড়ে উঠবে। সম্পদ বণ্টনে ভারসাম্য হবে। অসৎ উপার্জন থেকে মানুষ বিরত থাকলে পৃথিবীতে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হবে। ৬০ নম্বর আয়াতেই রয়েছে পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি না করার উপদেশ। আজকের এ সময়ে যে নির্দেশনার অনুসরণ আমাদের অবশ্য কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত। পবিত্র কোরআনে সর্বশক্তিমান আল্লাহ মানুষকে যেভাবে চলার উপদেশ দিয়েছেন সেভাবে চলার মধ্যে রয়েছে সত্যিকারের জাগতিক ও আখেরাতের শান্তি। আল্লাহ আমাদের নতুন বছরের প্রতিটি দিন তার নির্দেশিত পথে চলার তৌফিক দান করুন।

লেখক : খতিব, আল আমিন জামে মসজিদ, খুলনা।

 

সর্বশেষ খবর