শিরোনাম
বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৪ ০০:০০ টা

রাজধানীতে বন্যার ছোবল

বন্যা রাজধানীতেও ছোবল হেনেছে। রাজধানীর নিম্নাঞ্চলে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। বালু নদীর পানির তোড়ে ভেঙে গেছে খিলগাঁও থানার মাদারটেকের শেখের জায়গা এলাকার রাস্তা। বাড়িঘরেও শুরু হয়েছে পানির আগ্রাসন। রাজধানীর চারপাশের নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও শঙ্কা কাটছে না। এসব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজধানীর বৃষ্টির পানি নামতে পারছে না। ফলে নিম্নাঞ্চলগুলো ডুবে রয়েছে পানির নিচে। ঘনবর্ষণ হলে এবং রাজধানীর চারপাশের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে নিচু এলাকাগুলোর লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়তে পারে। বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদীর পানি বিপদসীমার নিচে থাকলেও যে হারে পানি বাড়ছে তা উদ্বেগজনক। রাজধানীর নিম্নাঞ্চলগুলোতে গরিব মানুষের বসবাসই বেশি। অতিবর্ষণের ফলে পানি জমে যাওয়ায় তাদের জীবন দুর্বিষহ অবস্থায় পৌঁছেছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে কিংবা ঘনবর্ষণ অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতির অবনতি অনিবার্য হয়ে উঠবে। রাজধানীর নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট এমনিতেই চলার প্রায় অযোগ্য। পানির তোড়ে সেগুলোর অবস্থা আরও সঙ্গিন হয়ে উঠেছে। শীতলক্ষ্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিএনডি বাঁধ এলাকার পানি নামতে পারছে না। ফলে এ এলাকার হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। রাজধানীর পূর্বপ্রান্তের ত্রিমোহনী, দাসাকান্দি, ফকিরখালি, বেরাইদসহ আশপাশের এলাকা জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছে বৃষ্টির পানি নামার সুযোগ না থাকায়। বালু ও শীতলক্ষ্যার পশ্চিমপাড়, ডেমরার আশুলিয়া, মেন্দিপুর, কায়েতপাড়া ও পাইটির নিম্নাঞ্চলও এখন পানিবন্দী। মাণ্ডা, নন্দীপাড়া সেতুর পূর্বপ্রান্ত ও নতুন বাজার এলাকায়ও বৃষ্টির পানি জমে আছে অভিন্ন কারণে। রাজধানীর চারপাশের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির পাশাপাশি বৃষ্টির পানি নামতে না পারার ঘটনায় নানা আশঙ্কা ও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। জলাবদ্ধ এলাকার অধিবাসীরা পানীয়জলের তীব্র সংকটে ভুগছে। এমনিতেই বন্যার কারণে দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা এখন পানির নিচে। রাস্তাঘাট, বাঁধ ও বিভিন্ন স্থাপনার জন্য এবারের বন্যা ব্যাপক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা আশা করব রাজধানীর নিম্নাঞ্চলের জলাবদ্ধতার দিকে তীক্ষ্ন নজর রাখা হবে। পানি নিষ্কাশনে নেওয়া হবে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ। এ ক্ষেত্রে কোথাও যাতে গাফিলতি না থাকে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।

 

 

 

সর্বশেষ খবর