বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা
ইতিহাস

উযুন হাসানের সঙ্গে সখ্য

উযুন হাসানের সঙ্গে জুনায়েদের সখ্য গড়ে ওঠে এবং উযুন হাসানের ভগি্নর সঙ্গে জুনায়েদের বিয়ে হয়। উযুন হাসান এবং শেখ জুনায়েদের যৌথ সামরিক শক্তিতে ভিত ও সম্ভ্রন্ত হয়ে জাহান শাহ তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন। সংঘর্ষে জাহান শাহের বাহিনীর কাছে জুনায়েদ পরাজিত ও নিহত হন। ১৪৫৬ খ্রিস্টাব্দে জুনায়েদ মৃত্যুবরণ করলে তার পুত্র শেখ হায়দার পিতার আসনে উপবেশন করেন। শেখ হায়দার ধর্মভীরু, তেজস্বী যোদ্ধা এবং ন্যায়পরায়ণতার জন্য বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। তার অনুসারীরা কিজিলবাস অর্থাৎ লাল টুপি পরিধানকারী নামে পরিচিত। এদিকে ১৪৭৮ খ্রিস্টাব্দে শিরওয়ান রাজ্যের সুলতান উযুন হাসানের মৃত্যু হলে তার স্থলাভিষিক্ত হন তার পুত্র খলিল। কিন্তু তিনি তার ভ্রাতা ইয়াকুব কর্তৃক নিহত হন। শেখ হায়দারের ক্রমবর্ধমান শক্তিতে ইয়াকুব উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। ১৪৮৮ খ্রিস্টাব্দে ইয়াকুব শেখ হায়দারের বিরুদ্ধে অভিযান করেন। সংঘর্ষে হায়দার নিহত হন। এ সময়ে হায়দারের পুত্র ইসমাইল মাত্র এক বছরের শিশু ছিলেন। ইয়াকুব ছিলেন সন্দিগ্ধচিত্ত এবং অত্যাচারী। হায়দার আলীর তিন পুত্র সুলতান আলী, ইব্রাহিম মির্জা ও শেখ ইসমাইলকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন ইয়াকুব। কিন্তু উযুন হাসানের কন্যা এবং শেখ হায়দারের স্ত্রী আলমসাত বেগমের হস্তক্ষেপে শেখ হায়দারের তিন পুত্র প্রাণে রক্ষা পায়। ভ্রাতৃত্রয়কে ইসতাখারে বন্দী করা হয়। ইয়াকুবের মৃত্যুর পর আক-কুয়ুনলু বংশের সিংহাসনে আরোহণ করেন তার পুত্র রুস্তম।

সর্বশেষ খবর