শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা
ধর্মতত্ত্ব

ধর্মীয় সংস্কার

ধর্মীয় জীবনে আরবরা ছিল অত্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্ত ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন। মূর্তি পূজা, বস্তুপূজা ও সর্ববিধ কুসংস্কার যখন আরবের ধর্মীয় জীবনকে গভীরভাবে কলুষিত করে ফেলছিল, ঠিক সে সময় হজরত মুহাম্মদ (সা.) তৌহিদের বাণী নিয়ে আবিভর্ূত হলেন। তিনি বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করলেন- 'আল্লাহ এক, তাঁর কোনো শরিক নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) তার প্রেরিত রসুল।' তাঁর অমোঘ বাণী যুগ যুগ লালিত পৌত্তলিকতার মূলে কুঠারাঘাত হানল। নিকৃষ্ট পার্থিব বস্তুর পূজা ত্যাগ করে তারা একেশ্বরবাদের মন্ত্রে দীক্ষা নিল। বোতখানায় পরিণত পবিত্র কাবাগৃহে আবার আল্লাহর ইবাদত শুরু হলো। মাত্র ২০ বছরের মধ্যে তিনি ধর্মজ্ঞানবর্জিত আরব জাতিকে একটি ধর্মাশ্রিত জাতিতে পরিণত করলেন।

মানব জাতিকে ধর্মীয় চেতনায় উজ্জীবিত করে তাদের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতির পথপ্রদর্শক হিসেবে ঐশীগ্রন্থ কোরআনের বাণীকে তিনি সার্থকভাবে প্রতিফলিত করে গিয়েছেন। এ সম্পর্কে পি কে হিট্টি বলেছেন, 'নিজে অশিক্ষিত হয়েও মুহাম্মদ (সা.) এমন একটি ধর্মগ্রন্থ প্রদান করেন, যা আজও বিশ্বের এক-অষ্টমাংশ অধিবাসীর কাছে সব বিজ্ঞান, ধর্ম ও সাধারণ জ্ঞানের ভাণ্ডার হিসেবে পরিগণিত।'

 

 

সর্বশেষ খবর