সোমবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা
ভেষজ

চিরতা

চিরতা

চিরতা ৪ থেকে ৫ ফুটবিশিষ্ট বীরুৎ জাতীয় গাছ। গাছের কাণ্ড সরু, হলদে বাদামি রঙের এবং লোমহীন। ফল ডিম্বাকার ক্যাপসুল আকারের হয়ে থাকে। চিরতা তিতা স্বাদযুক্ত। বৈজ্ঞানিক গবেষণা দ্বারা স্বীকৃত যেসব জৈবিক কার্যকারিতায় চিরতা উপকারী ভূমিকা রাখে সেগুলো হলো- ক্রিমিনাশকতায়, লেশম্যানিয়াসিস প্রতিরোধে, শোথ নিরাময়ে, প্রদাহনাশকতায়, ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে, জ্বর নিরাময়ে, যক্ষ্মা প্রতিরোধে, স্নায়ুর কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণে, কোমলতা আনয়নে, যকৃৎ প্রতিরক্ষায়, উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, রেচনে, পেটের ব্যথায়, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে, টনিক হিসেবে, হৃৎকার্য নিয়ন্ত্রণে, রক্ত পরিষ্কারে।হাইপোগ্লাইসেমিক কার্যকারিতার জন্য চিরতার কার্যকর উপাদানটি হলো সোয়ের চিরিন। এসব ছাড়াও গ্রাম পজিটিভ এবং গ্রাম নেগেটিভ উভয় ধরনের ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে চিরতা জীবাণুনাশক কার্যকারিতা প্রদর্শন করে। হারবাল অ্যান্টিসেপ্টিক ও এন্টিফাঙ্গাল ওয়েন্টমেন্ট প্রস্তুতিতেও চিরতা ব্যবহৃত হয়। আধুনিককালে চিরতা গনোরিয়া, সিফিলিস, শ্বেতপ্রদর, ডায়াবেটিস ও আলসারে বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে। একদা রসুলে পাক (সা.)-এর মহীয়সী বিবিগণের মধ্যে কোনো একজনের আঙুলে ফোঁড়া বের হয়। তাঁর বর্ণনা মতে, রসুলে পাক (সা.) আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, 'তোমার কাছে কি যারিরাহ (চিরতা) আছে? আমি বললাম জি, হ্যাঁ। রসুলে পাক (সা.) ইরশাদ করলেন, ফোঁড়ার ওপর যারিরাহ লাগিয়ে দাও। চিরতা সম্পর্কিত নবীজীর উপরোক্ত মন্তব্যের গুরুত্ব ও তাৎপর্যকে আরও সমুন্নত করেছে। আর এর মধ্যে এই মূল্যবান ভেষজটিকে নিয়ে গবেষণার সূক্ষ্ম নির্দেশনাও নিহিত রয়েছে।

ডা. আলমগীর মতি

 

 

সর্বশেষ খবর