বুধবার, ৪ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা
ইতিহাস

বায়বার্স

আল-মালিক আল-জাহির রুকুনদ্দৌল্লাহ বায়বার্স প্রথম জীবনে তুির্ক দাস ছিলেন। তাকে দামেস্কে মাত্র ৮০০ দিরহামে বিক্রয় করা হয়। তার নীল চোখে দোষ থাকায় তাকে প্রত্যাহার করা হয়। বায়বার্স অর্থাৎ 'বন্দুকদার' উপাধি তিনি তার মনিবের কাছ থেকে লাভ করেন। বাহরী মামলুক সাম্রাজ্যভুক্ত বায়বার্স আয়য়ূবী সুলতান মালিক উস-সালিহের ক্রীতদাস ছিলেন। তার ক্ষুদ্র দেহরক্ষী দলের নেতা হিসেবে স্বীয় মেধা, দক্ষতা, অসাধারণ প্রভাব ও যোগ্যতার বলে মিসরের মামলুকদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সুলতান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। হিট্টি তার প্রশংসা করে বলেন, 'লম্বা, কৃষ্ণঘন, উচ্চস্বরের অধিকারী, সাহসী, কর্মক্ষম বায়বার্সের নেতৃস্থানীয় মানুষদের সব গুণই ছিল। সুলতান বায়বার্স একজন সুদক্ষ ও তেজস্বী যোদ্ধা ছিলেন। তার বীরত্বের পরিচয় পাওয়া যায় কুতুযের রাজত্বকালে প্রধান সেনাপতির দায়িত্বে নিয়োজিত থাকাকালীন দুর্ধর্ষ মোঙ্গলদের আক্রমণের সময়। ১২৬০ খ্রিস্টাব্দে তিনি মোঙ্গল নেতা কেতবগারের বিশাল মোঙ্গল সৈন্যবাহিনীকে আইন-জালুতের প্রান্তরে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করেন। এ ঘটনা ইসলামের ইতিহাসে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মিসরে মোঙ্গল বিজয় মারাত্মক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি এবং রাজনৈতিক পরিবর্তন সাধন করত। বীরোচিত সমরবিজয়ের ফলে মামলুকরা শুধু ইরাকের মতো ধ্বংসযজ্ঞের হাত থেকে নিষ্কৃতিই পায়নি বরং বর্বর মোঙ্গলদের হাত থেকে ইসলামী সংস্কৃতি ও সভ্যতার উপাদানগুলো সর্বাত্মকভাবে সংরক্ষিত হয়।

 

 

সর্বশেষ খবর