বুধবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৫ ০০:০০ টা

মাঠ ও পার্কের অপদখল

রাজধানী ঢাকা থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে খেলার মাঠ। দুই সিটি করপোরেশনের পার্কগুলোও একই অবস্থার শিকার হচ্ছে। কালের বিবর্তনে সেগুলো আজ অপদখলের শিকার। একসময় যেসব মাঠে ছিল ফুটবল নিয়ে শিশু-কিশোরদের অনুশীলন, যেসব পার্কে ঘোরাফেরা করে মুক্তবায়ু সেবনের সুযোগ পেত এলাকার মানুষ সেগুলো এখন অপদখলের শিকার। তার কোনোটিতে গড়ে উঠেছে সরকারি স্থাপনা, কোনোটিতে মার্কেট। এক যুগ আগে রাজধানীর খেলার মাঠ ও পার্ক বেদখলের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনজীবী সমিতি হাইকোর্টে একটি রিট করে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের পক্ষ থেকে পরের বছর ২০০৪ সালে একই বিষয়ে রিট হয়। এই দুই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানী ঢাকার ৬৮টি খেলার মাঠ ও পার্কের জন্য সংরক্ষিত জায়গা ১৫ দিনের মধ্যে দখলমুক্ত করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ সময়ের মধ্যে এসব খেলার মাঠ, খোলা জায়গা ও পার্কের সীমানা চিহ্নিত করতেও দেওয়া হয় নির্দেশ। পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন হলফনামা আকারে আদালতে দাখিল করার জন্য রাজউক ও ঢাকা সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়। দুটি পৃথক রিটের নিষ্পত্তি করে বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। কিন্তু আদালতের সে আদেশ পালনে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতিই লক্ষ্য করা যায়নি। ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনে বিভক্ত হওয়ার পরও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন মাঠ ও মিনিপার্ক রিকশাভ্যানের গ্যারেজ এবং ট্রান্সপোর্টের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আসন্ন সিটি নির্বাচনের মেয়র প্রার্থীরা খেলার মাঠ ও পার্কগুলো অপদখল মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বলেছেন, নির্বাচিত হলে পর্যাপ্ত মাঠ ও পার্ক তৈরিতে নজর দেওয়া হবে। আমরা আশা করব শুধু প্রতিশ্রুতি দেওয়া নয়, বাস্তবেও তা কার্যকর করা হবে।

সর্বশেষ খবর