বুধবার, ২৭ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা
ধর্ম

নফল ইবাদতের মাস শাবান

মাওলানা মুহম্মাদ আশরাফ আলী

শাবান মাসকে বলা হয় নফল ইবাদতের মাস। হিজরি চান্দ্র মাস রজব ও শাবান উপলক্ষে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবেগাপ্লুত হতেন। রজবের চাঁদ উঠলে তিনি আল্লাহর দরবারে দোয়া করতেন, আল্লাহ যাতে রজব ও শাবান মাসে বরকত দান করেন এবং রমজান পর্যন্ত পৌঁছার তৌফিক দান করেন। সিয়াম সাধনার মাস রমজানের প্রস্তুতি শুরু হয় শাবান থেকে। মধ্য শাবানের রাতে লায়লাতুল বরাত অর্থাৎ ভাগ্যরজনীর আগমন ঘটে। শ্রেষ্ঠ পাঁচটি রজনীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ হিসেবে বিবেচনা করা হয় লায়লাতুল বরাতকে। যে রাতে আল্লাহর রহমত নাজিল হয় বান্দাদের জন্য। আল্লাহ এই পবিত্র রাতে বান্দার মনোবাঞ্ছা পূরণের জন্য উন্মুখ থাকেন। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান বাদে শাবান মাসে সর্বাধিক দিন নফল রোজা রাখতেন। তিরমিজি শরিফে উলি্লখিত হাদিস, হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, তিনি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শাবান মাসের মতো এত বেশি নফল রোজা রাখতে দেখেননি।

রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাবান মাসের দিন তারিখ সম্পর্কে হিসাব রাখতেন। হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পবিত্র শাবানের প্রতি এত বেশি লক্ষ্য রাখতেন যা অন্য কোনো মাসের ক্ষেত্রে রাখতেন না। (আবু দাউদ) শাবান মাসজুড়ে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নফল রোজায় মগ্ন থাকতেন। লায়লাতুল বরাত অর্থাৎ মধ্য শাবানের রাতে তিনি জান্নাতুল বাকিতে গিয়ে মুমিনদের কবর জিয়ারত করতেন এবং তাদের জন্য দোয়া করতেন। লায়লাতুল কদরের পর লায়লাতুল বরাতকে ফজিলতপূর্ণ রাত বলে অভিহিত করা হয়েছে। এই রাতে আল্লাহতায়ালা বান্দাকে ক্ষমা করার জন্য উন্মুখ থাকেন। যে কারণে শাবান মুসলমানের কাছে একটি ফজিলতপূর্ণ মাস। আল্লাহ আমাদের রমজানের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য শাবান মাসকে ব্যবহার বিশেষ করে বেশি বেশি নফল ইবাদত করার তৌফিক দান করুন।

 

লেখক : ইসলামী গবেষক।

 

সর্বশেষ খবর