আলাউদ্দীন খলজী একজন শাসকের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তৎকালীন অবস্থার প্রেক্ষিতে মূল্যনিয়ন্ত্রণ প্রথা প্রবর্তন করেছিলেন। এটি জনগণের কল্যাণ সাধন করেছিল। জনসাধারণ অভাবের সময়েও উচ্চমূল্যের চাপ অনুভব করেনি। কিন্তু কোনো কোনো আধুনিক ঐতিহাসিক এ ব্যবস্থার সমালোচনা করেছেন। তাদের মতে, আলাউদ্দীনের মূল্যনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ছিল অবাস্তব এবং এর দ্বারা সেনাবাহিনী, বেতনভোগী কর্মচারী, ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা উপকৃত হলেও কৃষকরা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তারা আরও বলেন, স্বল্পবেতনে একটি বৃহৎ সেনাবাহিনী পোষণের উদ্দেশ্যে সুলতান আলাউদ্দীন মূল্যনিয়ন্ত্রণ প্রথা প্রবর্তন করেছিলেন এবং এটি দিল্লি ও দিল্লির আশপাশেই সীমাবদ্ধ ছিল। এ কথা সত্য, স্বল্প বেতনে একটি বিরাট সেনাবাহিনীকে প্রতিপালনের জন্য সুলতান এ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, অধিক অর্থ জনগণকে বিদ্রোহে ও অরাকজতার উসকানি দেয়। তাই তিনি জনগণের কাছে বেশি অর্থ থাকুক তা যেমন পছন্দ করতেন না, তেমনি কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধিরও পক্ষপাতী ছিলেন না।