সোমবার, ২৭ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা
ভেষজ

চিরতার রাসায়নিক উপাদান

চিরতায় বিদ্যমান সবচেয়ে তিক্ত উপাদানটি হলো অ্যামারোজেন্টি নামে গ্লুুকোসাইড। এ ছাড়াও অফেলিক এসিড, চিরাটিন নামের আরেকটি গ্লুকোসাইড উপাদান দুটিও তিতা স্বাদযুক্ত। এ ছাড়া চিরতায় নানা প্রকার অ্যালকালয়েড ও ট্রাইতারপিনয়েড বিদ্যমান। বিভিন্ন জ্যান্থোনস, স্টেরল, লিগন্যান প্রভৃতিও চিরতায় বিদ্যমান গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বৈজ্ঞানিক গবেষণা দ্বারা স্বীকৃত যে, জৈবিক কার্যকারিতায় চিরতা উপকারী ভূমিকা রাখে সেগুলো হলো : ক্রিমিনাশকতায়, লেশম্যানিয়াসিস প্রতিরোধে, শোথ নিরাময়ে, প্রদাহনাশকতায়, ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে, জ্বর নিরাময়ে, যক্ষ্মা প্রতিরোধে, স্নায়ুর কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণে, কোমলতা আনয়নে, যকৃত প্রতিরক্ষায়, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, রেচনে, পেটের ব্যথায়, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে, টনিক হিসেবে, হৃৎকার্য নিয়ন্ত্রণে, রক্ত পরিষ্কারে, হাইপোগ্লাইসেমিক কার্যকারিতার জন্য চিরতার কার্যকর উপাদানটি হলো সোয়ের চিরিন। এসব ছাড়াও গ্রাম পজিটিভ এবং গ্রাম নেগেটিভ উভয় প্রকার ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে চিরতা জীবাণুনাশক কার্যকারিতা প্রদর্শন করে। হারবাল এন্টিসেপ্টিক ও এন্টিফাঙ্গাল অয়েন্টমেন্ট প্রস্তুতিতেও চিরতা ব্যবহৃত হয়। আধুনিককালে চিরতা গনোরিয়া, সিফিলিস, শ্বেত প্রদর, ডায়াবেটিস ও আলসারে বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে।

-ডা. আলমগীর মতি

সর্বশেষ খবর