শিরোনাম
রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

লোনাপানির কুমির

শাবক ও অল্প বয়সীদের শরীরের নিচের দিক হালকা হলুদ-জলপাই রংয়ের পিঠের দিকে সর্বত্র কালো রংয়ের অজস্র ফোঁটা। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পিঠের দিকে কালচে হয়ে ওঠে, নিচের অংশগুলো হালকা রং ধরে। প্রতিটি চোখের সামনের ফুলানো অস্থিময় একটি অংশ নাকের ডগার স্ফীতির কাছাকাছি পর্যন্ত প্রসারিত। পশ্চাৎ করোটির কুঁজ সুগঠিত নয় অথবা অনুপস্থিত। ঘাড়ের কুঁজগুলো গুচ্ছবদ্ধ। পিঠের ১৬-১৭টি মজবুত আঁশ পাশাপাশি ও ৬-৭টি লম্বালম্বি সারিতে থাকে। দেহের দৈর্ঘ্য ১০ মিটার পর্যন্ত হয়, সাধারণত ৫.৫ মিটার। এরা স্বাদুপানির কুমিরের তুলনায় বেশিক্ষণ পানিতে থাকে, এমনকি সাগরেও। পানি থেকে উঠে ম্যানগ্রোভ বনের ধারে দিনের বেলা শুয়ে থাকে। প্রধানত মৎস্যভোজী, তবে বড় বড় স্তন্যপায়ীও শিকার করে। যৌন মিলন হয় শীতকালে। ডিম পাড়ে মে মাসে। প্রজনন ঋতুতে স্ত্রী কুমির আগাছা ও মাটি দিয়ে প্রায় ৫৭ সে.মি উঁচু ও ২ মিটার চওড়া ডিবির মতো বাসা তৈরি করে। ডিমের সংখ্যা ২০-৭২ (গড়ে ৫০), উপ্তিকাল ৮০-৯০ দিন। বাংলাদেশের নদীমোহনা ও সুন্দরবনের উপকূলে এদের বাস।  আবাসস্থল ধ্বংস ও ব্যাপক শিকারের জন্যই এরা বিপন্ন। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পাপুয়া নিউগিনি ও অস্ট্রেলিয়াতে এরা বিস্তৃত।

 

সর্বশেষ খবর