সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

তাজিয়া মিছিলে হামলা

দুর্বূত্তদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দিন

আশুরার রাতে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে তাজিয়া মিছিলে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে অজ্ঞাত পরিচয় দুর্বূত্তরা। এ হামলায় এক কিশোর নিহত ও প্রায় ১০০ জন আহত হয়েছে। কারবালায় ইয়াজিদ বিন মুয়াবিয়ার লেলিয়ে দেওয়া বাহিনীর হাতে ৭২ জন সঙ্গীসহ শাহাদাতবরণ করেন রসুল (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র হজরত হোসাইন (রা.)। ইসলামের ইতিহাসে সবচেয়ে শোকাবহ ঘটনা স্মরণে পুরান ঢাকার ইমামবাড়া থেকে প্রতিবছরই তাজিয়া মিছিল বের হয়। কয়েকশ বছর ধরে চলে আসা এ ঐতিহ্যের মুখে বোমা হামলার ঘটনা যেমন আঘাত হেনেছে, তেমনি দেশের সুনামের জন্যও তা কলঙ্ক লেপনের অপচেষ্টা বললেও ভুল হবে না। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে তাজিয়া মিছিলে যোগদানের জন্য বিপুলসংখ্যক শোকার্ত মানুষ সমবেত হলে তাদের ওপর তিনটি হাতে তৈরি গ্রেনেড নিক্ষেপ করে অজ্ঞাত পরিচয় দুর্বৃত্তরা। তাজিয়া মিছিলে গ্রেনেড হামলায় কারা জড়িত তা যথাযথ তদন্তে উদ্ঘাটিত হতে পারে। আমরা আশা করব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইয়াজিদের এই নব্য শিষ্যদের খুঁজে বের করতে সম্ভাব্য সবকিছুই করবে। যারা ধর্মীয় সহিষ্ণুতার দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সুনামকে কলঙ্কিত করতে চায় তাদের স্বরূপ উদঘাটনের স্বার্থেই হামলাকারীদের বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। তাদের কেউ যেন পার না পায় সে ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হতে হবে। আশুরার রাতে পুরান ঢাকার তাজিয়া মিছিলে গ্রেনেড হামলায় যারা হতাহত হয়েছে তাদের প্রতি আমরা গভীর সহানুভ‚তি জ্ঞাপন করছি।  আমরা আশা করব এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রশাসন সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নেবে। তাজিয়া মিছিলের নিরাপত্তায় আগে থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিলে এ দুঃখজনক ঘটনা হয়তো এড়ানো যেত।  বাংলাদেশে আন্তঃসাম্প্রদায়িক সম্পর্ক যতই ভালো হোক না কেন, উগ্রবাদের নোংরা ভ‚তরা দেশে দেশে যে বীভৎসরূপে আবিভর্‚ত হচ্ছে, তার থাবা ঠেকাতে সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর