সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক

যেনতেন নয়, টেকসই সংস্কারের উদ্যোগ নিন

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ককে নরক বলে অভিহিত করা হয়েছে বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে। দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজারের সঙ্গে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম বলে বিবেচিত যে সড়কটি তাকে ‘নরক’ অভিধায় অভিহিত করার বিষয়টি বেহাল অবস্থার হালহকিকতই স্পষ্ট করে দেয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, আমিরাবাদ, বটতলী স্টেশন রোড, লোহাগাড়া, আধুনগর, ইঞ্জিনিয়ার মার্কেট, চুনতি বাজার, বরইতলী বাজার এবং চকোরিয়া পর্যন্ত মাইলের পর মাইল হাজারও খানাখন্দে ভরপুর। এ পথে চলাচলকারী বিলাসবহুল এসি কোচ থেকে শুরু করে যাত্রীবাহী সাধারণ বাস, প্রাইভেট গাড়ি সবাইকে দীর্ঘ যুদ্ধ করে তবেই পৌঁছতে হয় পর্যটননগরী কক্সবাজারে। স্মর্তব্য, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব ১৯৬ কিলোমিটার। আর চট্টগ্রাম থেকে পর্যটননগরী কক্সবাজারের দূরত্ব ১৬০ কিলোমিটার। চার লেনের কাজ চলার কারণে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছতে এখন সময় লাগে কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা। এই মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে জ্যামের কারণে অতিরিক্ত সময় লাগছে। চট্টগ্রাম থেকে সড়কপথে কক্সবাজার পৌঁছতে সময় লাগার কথা মাত্র সাড়ে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা। এখন চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পৌঁছতে কমপক্ষে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা সময় হাতে নিয়ে বের হতে হয়। শুধু রাস্তার করুণ হালের কারণেই অতিরিক্ত দুই থেকে তিন ঘণ্টা সময় লাগছে। খানাখন্দক ভরা থাকায় দ্বিগুণ সময়ই শুধু ব্যয় হচ্ছে না, যাত্রীদের ভোগান্তিও বাড়ছে। যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন এ সড়কটির খানাখন্দকে ইটের খোয়া ফেলে মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে।  কিন্তু এ ধরনের সাময়িক মেরামতে টাকার শ্রাদ্ধ ছাড়া আর কোনো সুবিধা দেবে তা ভাবাও দুষ্কর। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের দুরবস্থার জন্য পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে কক্সবাজারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ হচ্ছে। সড়কপথে যারা কক্সবাজার যাচ্ছেন তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতায় পড়তে হচ্ছে।  আমরা আশা করব যেনতেন প্রকারে খানাখন্দক ভরা নয়, অনতিবিলম্বে সড়কটির টেকসই মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর