মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

মেরিন ড্রাইভ সড়ক

পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে আকর্ষণীয় করে তুলবে

বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের এই বৈশিষ্ট্য গর্ব করার মতো হলেও তা পর্যটকদের সেভাবে আকর্ষণ করতে পারেনি পর্যটন সংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধার অভাবে। বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে সরকার যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তার অন্যতম হলো সমুদ্র তীরবর্তী ৮২ কিলোমিটার জুড়ে মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণ। ২৬ বছর আগে প্রকল্পটির কাজ শুরু হলেও অর্থাভাবে তা এগিয়েছে শম্বুকগতিতে। বর্তমান সরকারের আমলে জমি অধিগ্রহণসহ অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করে প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। আশা করা হচ্ছে সাগর পাহাড় আর পর্যটকদের মধ্যে মেলবন্ধন সৃষ্টিতে মেরিন ড্রাইভ সড়ক বিশিষ্ট ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ নামে পরিচিত ৮২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক নির্মাণ হবে টেকনাফ পর্যন্ত। পরবর্তীতে এর দৈর্র্ঘ্য আরও বাড়বে। টেকনাফ থেকে কক্সবাজার হয়ে চট্টগ্রামের মিরসরাই পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ বা সমুদ্র সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে এটি পূর্ণতা পাবে। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ইতিমধ্যে কক্সবাজারের প্রবেশমুখ কলাতলি মোড় থেকে শুরু করে ইনানী বিচ পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। আগামী দুই বছরে অর্থাৎ ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই টেকনাফ পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে এ সড়কটি হবে আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্র। পর্যটকরা মেরিন ড্রাইভের মাধ্যমে একসঙ্গে সমুদ্র আর পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সমুদ্রের গা-ঘেঁষে নির্মাণ করা মেরিন ড্রাইভ দিয়ে যাওয়ার সময় সমুদ্রের নীল জল আর বিশাল ঢেউ তারা উপভোগ করবেন গাড়িতে বসেই। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভের ৪৮ কিলোমিটারের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।  আর পুরো কাজ শেষ হতে সময় লাগবে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত। কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের তীরজুড়ে ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ রোড নির্মাণ বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে যে ভূমিকা রাখতে সমর্থ হবে তাতে সন্দেহ নেই।  তবে পর্যটন ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ সাফল্য অর্জন করতে হলে পর্যটনবান্ধব নীতি গ্রহণেও উদ্যোগী হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর