বুধবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ভূমিকম্পের হুমকি

দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি গড়ে তুলতে হবে

দক্ষিণ এশিয়ায় আবারও আঘাত হেনেছে ভূমিকম্প। পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও ভারতে আঘাত হানা ওই ভূমিকম্পে শত শত মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। অসংখ্য ঘরবাড়ি ও স্থাপনা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বলছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। এর উৎপত্তিস্থল ছিল আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে ২৫০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে হিন্দুকুশ অঞ্চলের ২১৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে। স্থায়িত্ব ছিল প্রায় ৪০ সেকেন্ড। ভারতের দিল্লি, কাশ্মীর, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবেও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। পাকিস্তানের পেশোয়ার ও উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত এলাকার সোয়াত, বাজাউর, কাল্লার কাহার, সারগোদা ও কাসুরে অধিকাংশ হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। ভূমিকম্পের ফলে পাকিস্তানের ইসলামাবাদ ও পেশোয়ারের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটেছে। ভূমিধসের ফলে কারাকোরাম হাইওয়ের পাঁচ স্থানে রাস্তা বন্ধ হয়ে পড়েছে। ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পের ৪০ মিনিট পর একই এলাকায় আবারও ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল চার দশমিক। ভূমিকম্প এমন এক দুর্যোগ তা কখন আঘাত হানবে তা অনুমান করার জ্ঞান মানুষ এখনো অর্জন করতে পারেনি। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্ত এলাকায় সংঘটিত ভূমিকম্পে কয়েক লাখ মানুষ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তেমন উপদ্রুত এলাকায় দেখা দিয়েছে মানবিক সংকট। ভয়াবহ এ ভূমিকম্পের ঘটনা বাংলাদেশের মানুষের জন্যও অশনি সংকেত বলে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশের অবস্থান ভূমিকম্প ঝুঁকি এলাকায়। নিকট অতীতে এ দেশে বড় ধরনের ভূমিকম্পের রেকর্ড না থাকলেও বাংলাদেশের অবস্থান যেহেতু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সেহেতু সতর্ক থাকার কোনো বিকল্প নেই। বিশেষত, বড় ধরনের কোনো ভূমিকম্প হলে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা রাজধানীসহ বড় বড় নগরগুলোর অবস্থা কী দাঁড়াবে তা আশঙ্কার ঊর্ধ্বে নয়। এ আশঙ্কা নিরসনে ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোর্ড মেনে চলার দিকে যেমন নজর দিতে হবে তেমন ভূমিকম্পকালীন দুর্যোগ মোকাবিলায়ও সতর্ক হতে হবে। এ জন্য গড়ে তুলতে হবে প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর