রবিবার, ১ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

বেহাল কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত

অব্যবস্থাপনার এ নজির দুর্ভাগ্যজনক

সাগরকন্যা কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত তার বৈশিষ্ট্য হারাচ্ছে। বিশ্বের দীর্ঘতম এই সমুদ্রসৈকতের যেখানে সেখানে পড়ে থাকে আবর্জনা। সমুদ্রসৈকত থেকে আবর্জনা অপসারণের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় দেশি-বিদেশি পর্যটকরা প্রায়ই বিব্রতকর অবস্থার শিকার হন। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৈকত দেখভালের জন্য জেলা প্রশাসন এবং বিচ ব্যবস্থাপনা কমিটি থাকলেও আবর্জনা অপসারণের কোনো তৎপরতা নেই। সমুদ্রসৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলীর যেখানে সেখানে দেখা যায় ময়লা-আবর্জনার ছড়াছড়ি। এসব আবর্জনাই জোয়ার-ভাটার সময় সাগরের পানিতে ভাসতে থাকে। কোনো কোনো আবর্জনা আবার পানির নিচে তলিয়ে যায়। সাগর নামা পর্যটকদের হাতে-পায়ে বাঁধে এসব আবর্জনা। পৃথিবীর দীর্ঘতম এই সমুদ্রসৈকতটির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি বালুকাময়। পর্যটকদের কাছে টেনে নেওয়ার মায়াবী আকর্ষণ থাকলেও সমুদ্রসৈকতটি নোংরা-আবর্জনার কারণে হারাচ্ছে তার জৌলুস। অভিজ্ঞজনদের মতে, পর্যটনকে শিল্প হিসেবে নিয়ে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে নানামুখী উদ্যোগ নিতে হবে। এ উদ্দেশ্যে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতকে একটি পরিচ্ছন্ন ও পর্যটনবান্ধব স্পট হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। পর্যটকদের জন্য নিরাপদ ও নির্ঝঞ্ঝাট পরিবেশ গড়ে তোলার দিকেও নজর দিতে হবে। এটি সম্ভব হলে বর্তমানের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি পর্যটককে কাছে টানতে পারবে বিশ্বের দীর্ঘতম এই সমুদ্রসৈকত। স্মর্তব্য, পর্যটকদের বিনোদনের জন্য বিভিন্ন রকম উদ্যোগ থাকলেও নেই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা। বাংলাদেশকে পর্যটন ক্ষেত্রে এগিয়ে নিতে হলে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতকে সামনে নিয়েই এগোতে হবে। বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ এই মায়াবী সমুদ্রসৈকতের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে যেমন জোরদার করতে হবে তেমনি এখান থেকে পর্যটনের অন্যান্য নিকটবর্তী স্পট সেন্টমার্টিন দ্বীপ, নিঝুম দ্বীপ, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের যাতায়াত ব্যবস্থা সহজতর করতে হবে।  সরকার পর্যটন ক্ষেত্রে দ্রুত এগোনোর লক্ষ্য নিয়ে ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে।  এক্ষেত্রে সুফল পেতে হলে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতকে পরিচ্ছন্ন সৈকতে পরিণত করার উদ্যোগ নিতে হবে।

সর্বশেষ খবর