সোমবার, ২ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

বিশ্ব মঞ্চ থেকে পিছু হটতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র

মেজর জেনারেল একে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)

বিশ্ব মঞ্চ থেকে পিছু হটতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র

পশ্চিমা বিশ্বের ট্যাবলয়েড পত্রিকাগুলো কাটতি বাড়ানোর জন্য মাঝে মাঝে আনন্দদায়ক ও উত্তেজনাকর খবর ছাপাতে ওস্তাদ। তবে পত্রিকার কাটতি বৃদ্ধি প্রধান লক্ষ্য হলেও খবরের অন্তর্নিহিত অর্থও যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে। সিরিয়ায় আইএসসহ প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত বিদ্রোহীদের ওপর ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে রাশিয়া পরিপূর্ণ বিমান ও মিসাইল হামলা শুরু করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের প্রধান টার্গেট আসাদকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখাই রাশিয়ার অভিযানের অন্যতম লক্ষ্য।  এ সময়ে সিরিয়ার মধ্যপন্থি বিদ্রোহী, যারা আসাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত, যাদের যুক্তরাষ্ট্র এতদিন প্রত্যক্ষ সমর্থন প্রদান করে আসছে, তাদের প্রশিক্ষণ সহায়তা আপাতত বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে গত এক বছরেরও অধিক সময় ধরে সরাসরি বিমান হামলা চালিয়ে আইএসের বিরুদ্ধে তেমন কোনো সাফল্য যুক্তরাষ্ট্র অর্জন করতে পারেনি। আর গত চার বছর চেষ্টা করেও আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব। বরং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাদের সমরবিদরা ও প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা স্বয়ং হতাশা প্রকাশ করেছেন এ মর্মে যে, সিরিয়ার যুদ্ধ সহজে শেষ হচ্ছে না, এ যুদ্ধ দীর্ঘমেয়াদি হবে।

এ অবস্থায় আসাদের পক্ষে রাশিয়া আকাশ যুদ্ধ শুরু করায় ট্যাবলয়েডওয়ালারা খোরাক পেয়ে যায়। খবর ছাপে পুতিন জ্বরে কাঁপছে পশ্চিমা বিশ্ব অথবা পুতিন এগোচ্ছেন, ওবামা পেচ্ছাছেন ইত্যাদি। এ খবরের সঙ্গে কিছুটা রঞ্জিত রং থাকলেও এর মর্মার্থের গুরুত্ব কম নয়। এবং আগামীতে সিরিয়ার পরিস্থিতি কোন দিকে যেতে পারে তার ইঙ্গিতসহ বিশ্ব মঞ্চে একক পরাশক্তির কর্তৃত্ব যে খর্ব হয়ে আসছে তারও কিছু পূর্বাভাস পাওয়া যায়। প্রথমে সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা যাক। রাশিয়ার সংকল্প দেখে মনে হচ্ছে দীর্ঘ চার বছর মেয়াদি যুদ্ধের এসপার-ওসপার একটা করে ছাড়বে তারা। স্বয়ং পুতিন ঘোষণা করেছেন দীর্ঘদিনের বন্ধু আসাদকে রক্ষা করা এবং আইএসকে উৎখাত করাই হবে রাশিয়ার প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য। পুতিন তার কথায় উহ্য রাখলেও বোঝা যায় রাশিয়ার মিসাইল সিরিয়ার মধ্যপন্থি বিদ্রোহীদেরও ছেড়ে দেবে না। ইরাকের ঘটনার পুনরাবৃত্তি সিরিয়ায় যাতে না ঘটে এবং সিরিয়ার বর্তমান সরকার যেন বহাল থাকে সেটিও রাশিয়া নিশ্চিত করতে চাইবে। বিশ্ব অঙ্গনে রাশিয়াকে যথাযথ মর্যাদা দিতে হবে এই বার্তাই যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বকে দিতে চান পুতিন। ক্রেমলিন স্পষ্ট বার্তা দিতে চায় যে, পৃথিবী এখন আর এককেন্দ্রিক নয়, রাশিয়ার কথায় যুক্তরাষ্ট্রকে কান দিতে হবে। এক বছরের অধিক সময় ধরে আকাশ হামলা চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যা করতে পারেনি, তার থেকে অনেক বেশি আইএসকে পর্যুদস্ত করতে পেরেছে রাশিয়া মাত্র এক মাসের মাথায়।

যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিমুখী নীতি ও তাদের সহযোগী আঞ্চলিক ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোর অভ্যন্তরীণ জটিল পরিস্থিতি এবং স্বার্থের সমীকরণের অনেক জায়গায় নিজেদের মধ্যে অমিল থাকায় এক বছরেরও অধিক সময় আকাশ অভিযান চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আকাক্সিক্ষত সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। তেল সম্পদের ওপর নিয়ন্ত্রণ, অস্ত্রের ব্যবসা এবং ইসরাইলের স্বার্থ রক্ষা, এই ত্রিমুখী লক্ষ্যকে ঠিক রাখার জন্য আসাদকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করাই হয়ে ওঠে যুক্তরাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য। সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র আকাক্সিক্ষত সাফল্য না পাওয়ার পেছনে আরও অনেক কারণ আছে। এক. যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক মধ্যপন্থি অর্থাৎ আসাদ বিরোধীদের প্রদান করা অস্ত্রশস্ত্রের বড় অংশ চলে গেছে আল-কায়েদা সমর্থিত আল নুসরা ফ্রন্টের কাছে। নুসরা ফ্রন্ট হয়ে সেটি চলে যায় আইএসের হাতে। সুতরাং আইএস এবং আসাদের অনুসারী সেনাবাহিনীর স্যান্ডউইচ চাপে মধ্যপন্থি বিদ্রোহীরা কোনো রকম উলে­খযোগ্য সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। একই কারণে গোয়েন্দা তথ্য আগাম ফাঁস হয়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় আইএসের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। দুই. আসাদ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে এ অভিযোগে ২০১১ সালে একবার এবং পরে ২০১৩ সালে আরেকবার সর্বাÍক সামরিক অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। কিন্তু কংগ্রেসের বিরোধিতা এবং অন্য বহুবিধ কারণে সে সিদ্ধান্ত থেকে যুক্তরাষ্ট্র পিছু হটে। এতে সৌদি আরব ক্ষুব্ধ হয় এবং দুই দেশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির ক্ষেত্র তৈরি হয়। তারপর ২০১৪ সালের শেষ দিকে এসে ইয়েমেনে সামরিক অভিযানে জড়িয়ে পড়ার কারণে সৌদি আরবের কাছে সিরিয়ার সংকট গৌণ হয়ে যায়। তাছাড়া সম্প্রতি হজ ট্র্যাজেডি এবং রাজপরিবারের অভ্যন্তরে ক্ষমতার দ্ব›দ্ব প্রকট হয়ে পড়ায় সৌদি আরব আগের মতো আর সিরিয়ার দিকে নজর দিতে পারছে না। তিন. যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র এবং ন্যাটো সামরিক জোটের সদস্য তুরস্ক। কিন্তু তুরস্কে বর্তমান ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট তায়েফ এরদোগানের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি আদর্শগতভাবে মিসরের ব্রাদার হুডের অনুসারী। আর আল কায়েদা-আইএসও ব্রাদারহুডের অফসুট বা উপ-শাখা। এদের সবার গোড়া হলো ওয়াহাবিতন্ত্র, যার প্রবর্তন করেন সৌদি আরবের নেজাদবাসি মুহম্মাদ আবদুল ওয়াহাব (১৭০৩-১৭৯২)। দেশও অঞ্চলভেদে এদের ক্ষমতায় যাওয়ার কৌশল ভিন্ন ভিন্ন। এরদোগানের দল কট্টর ওয়াহাবি তন্দ্রের অনুসারী হলেও তুরস্কের সেনাবাহিনীর অতন্দ্র প্রহরার কারণে এবং ক্ষমতায় টিকে থাকার স্বার্থে তায়েফ এরদোগান সবার সঙ্গে আপস করে চলছে। যার কারণে তিন মেয়াদে তারা ক্ষমতায় আছে, নইলে বহু আগেই মিসরের ব্রাদারহুড নেতা মুরসির ভাগ্য বরণ করতে হতো তুরস্কের এরদোগানকে। তুরস্কের এরদোগান সরকারের বাইরে এক আর অন্তরে অন্যরকম হওয়ার কারণে প্রথম তিন বছর তুরস্ক নানা অজুহাতে আইএসের বিরুদ্ধে কোনো অ্যাকশনে যায়নি। বরং পুরো ইউরোপ, আমেরিকা ও অন্যান্য দেশের যোদ্ধারা তুরস্ক হয়ে বিনা বাধায় আইএস বাহিনীতে যোগ দিয়েছে। তুরস্ক বাধা দিলে এত বিদেশি যোদ্ধা আইএস বাহিনীতে যোগ দিতে পারত না। এখন শেষদিকে, ২০১৫ সালে এসে তুরস্ক বাহ্যিকভাবে আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেও বাস্তবে তাদের টার্গেট হচ্ছে উত্তর ইরাক-সিরিয়ার কুর্দি বাহিনী, যারা প্রকৃতপক্ষে সাফল্যের সঙ্গে যুদ্ধ করছে আইএসের বিরুদ্ধে। সুতরাং প্রকারান্তরে তুরস্কের অভিযানে বরং কিছুটা সুবিধা পাচ্ছে আইএস।

 

চার. আসাদকে হটাতে হলে বা আইএসকে সম্পূর্ণভাবে পরাজিত করতে হলে স্থলবাহিনীর অভিযান ব্যতিরেকে তা কখনো সম্ভব নয়। কিন্তু সিরিয়ার সীমান্তবর্তী যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র তুরস্ক ও জর্ডান বিমান হামলা পরিচালনা এবং ঘাঁটি ও প্রশিক্ষণ সুবিধা দিলেও তাদের ভ‚মি ব্যবহার করে সর্বাÍক সামরিক অভিযান চালাতে সম্মত হবে না। অন্য পাশে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থিত সরকার থাকলেও তারা প্রবলভাবে শিয়া প্রভাবিত। ফলে তারা আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেও আসাদকে সিরিয়ার ক্ষমতায় রাখতে আগ্রহী। ইসরায়েলের ভ‚মি ব্যবহার করে সিরিয়ায় স্থল অভিযান চালানো যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ, তখন সারা বিশ্বের মুসলমান জনগণ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে। সেটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আরও জটিল অবস্থার সৃষ্টি করবে। সুতরাং এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র না পারছে আসাদকে হটাতে, না পারছে আইএসকে পরাজিত করতে। তাই আপাতত অপেক্ষার নীতি নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে মধ্যপ্রাচ্য বা সিরিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্র সম্পূর্ণভাবে হাত গুটিয়ে নিচ্ছে তা ভাবার কোনো কারণ নেই। রাশিয়ার অভিযানে আইএস পরাস্ত হলে হয়তো যুক্তরাষ্ট্র নতুন কৌশলে এগোতে পারে। রাশিয়ার অভিযান সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। রাশিয়ার বিমান ও মিসাইল আক্রমণ ইতিমধ্যে আইএস ও সিরিয়ার বিদ্রোহীদের অগ্রাভিযানকে কার্যকরভাবে ঠেকিয়ে দিয়েছে এবং অপারেশনাল কার্যক্রমকে নির্দিষ্ট গণ্ডি ও সীমার মধ্যে বেঁধে ফেলেছে। এ সুযোগে আসাদের সশস্ত্র বাহিনী পুনরুজ্জীবিত হয়ে নতুন উদ্যমে আইএস ও বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে স্থল আক্রমণ চালাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ও তুরস্কের বর্তমান ধীরে চলো নীতি আরও কিছু দিন অব্যাহত থাকলে সিরিয়ার সেনাবাহিনী সহজেই আইএসের দখলকৃত গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো পুনর্দখলে আনতে পারবে। আইএস ও বিদ্রোহীরা কোণঠাসা হয়ে পড়বে। সেই সুযোগে সিরিয়ার সেনাবাহিনী তুরস্ক ও জর্ডান সীমান্তের ক্রসিং পয়েন্ট নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হবে। সেটি হলে বিদেশ থেকে আইএস যোদ্ধা সিরিয়ায় ঢোকা কঠিন হবে এবং আইএস অস্ত্র গোলাবারুদের সরবরাহ লাইন খোলা ও নির্বিঘœ রাখতে পারবে না। তখন রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনার চালকের আসনে থাকবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদ। আর মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে এবং আন্তর্জাতিক প্রাঙ্গণে নতুন শক্তি হিসেবে গণ্য হবে রাশিয়া। ইরানের অবস্থানও শক্তিশালী হবে। তাই যদি হয়, তাহলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মধ্যপ্রাচ্য থেকে এটাই হবে যুক্তরাষ্ট্রের মোটা দাগের পিছু হটা। তবে সাম্প্রতিককালে এটাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম পিছু হটা নয়। এর আগে ২০১২ সালের প্রথমদিকে ইরানকে যুক্তরাষ্ট্র আক্রমণ করবে করবে এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। পারস্য উপসাগর ও হরমুজ প্রণালিতে ইরানও বিশাল যুদ্ধের মহড়া চালিয়েছিল। বারাক ওবামা ২০১২ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে প্রদত্ত বার্ষিক স্টেট অব ইউনিয়ন ভাষণে বলেন, প্রয়োজনবোধে সামরিক পদক্ষেপের মাধ্যমে ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হওয়া থেকে বিরত রাখা হবে। তার আগে ২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জুনিয়র বুশ ইরানকে শয়তান রাষ্ট্র হিসেবে অভিহিত করেন। ২০১৫ সালে এসে দেখা গেল, ঘোষিত শয়তান রাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব আপসরফা করছে। যদিও পাল্টা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে মহাশয়তান আখ্যা দিয়েছিল ইরান। ২০১৩ সালের শেষদিকে ইউক্রেন সংকটকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র মস্কোপন্থি শাসককে হটিয়ে পশ্চিমাপন্থি শাসককে কিয়েভের গদিতে বসাতে সক্ষম হয়। কিন্তু ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে উভয়পক্ষের জন্য ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ববাহী অঞ্চল ইউক্রেনের ক্রিমিয়া রাজ্যে সেনাবাহিনী পাঠিয়ে রাশিয়া রাতারাতি দখল করে নেয়। যুক্তরাষ্ট্রকে সেটি হজম করতে হয়েছে। ইউরোপ মধ্যপ্রাচ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ এখন এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল। ২০১১ সালের নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়া সফরকালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ঘোষণা করেন : As President, I have made a deliberate and strategic decision as a pacific nation, the US will play a larger and long term role in shaping this region and its future, by upholding core principles and in close partnership with our allies and friends. এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশের অবস্থান।  বারাক ওবামার উপরোক্ত ঘোষণার গূঢ় মর্মার্থ আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনাকারী সব রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ এবং সর্বোপরি জনগণকে উপলব্ধি করতে হবে। ক্ষমতার লোভে খাল কেটে নিজের ঘরে কুমির আনার চেষ্টা কোনো রাজনৈতিক দল করলে তা জনগণকে উপলব্ধি করতে হবে এবং প্রয়োজনবোধে প্রতিহত করতে হবে।  তবে সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের ঘটনাবলিতে একটি বিষয় প্রমাণিত হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে তাদের ইচ্ছা যেনতেনভাবে কোনো রাষ্ট্রের ওপর আর চাপিয়ে দিতে পারবে না।

লেখক : কলামিস্ট ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

[email protected]

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর