সোমবার, ২ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

অটোরিকশার ভাড়া নৈরাজ্য

অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে কঠোর হোন

সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিক ও চালকদের আবদার মেনে নিয়ে রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামে গতকাল থেকে যাত্রী ভাড়া বাড়ানো হয়েছে গড়ে ৬০ ভাগ। নতুন নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী প্রথম দুই কিলোমিটার ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে আগের ২৫ টাকার বদলে ৪০ টাকা। মালিকদের জমার পরিমাণও বাড়িয়ে ৬০০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা করা হয়েছে। প্রথম দুই কিলোমিটারের পর প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৭ টাকা ৬৫ পয়সা থেকে বৃদ্ধি করে ১২ টাকা করা হয়েছে। সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়া ৬০ ভাগ বাড়ানো হলেও যাত্রীরা নতুন নির্ধারিত ভাড়ায় চলাচলের সুযোগ পাবেন তার কোনো নিশ্চয়তা নেই বললেই চলে। কারণ সিএনজি অটোরিকশা চালকরা ভাড়া বাড়ানোর আগে যাত্রীদের কাছ থেকে গড়ে তিনগুণ ভাড়া আদায় করতেন। আর মালিকদের জমা ৯০০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বহু আগে থেকেই তারা ৯০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা জমা আদায় করে আসছেন। মিটার রিডিং অনুযায়ী ভাড়া নেওয়ার কথা থাকলেও সেটি একযুগেরও বেশি সময় ধরে কাল্পনিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০০২ সালে সিএনজি অটোরিকশা চালুর পর এবার নিয়ে পাঁচবার ভাড়া বাড়ানো হলো। সময়ের ব্যবধানে ভাড়া বাড়তেই পারে এবং তার যৌক্তিকতাও অস্বীকার করা যায় না। তবে অটোরিকশা চালকরা গত এক যুগে কখনোই নির্ধারিত ভাড়ায় সন্তুষ্ট থাকেনি। যাত্রীদের প্রতিবাদ সত্তে¡ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় কিছুতেই বন্ধ হয়নি। যাত্রীরা সিএনজি অটোরিকশা মালিক ও চালকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়লেও তা দেখার কেউ নেই। সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া ৬০ ভাগ বৃদ্ধি যাত্রীদের জন্য আশীর্বাদ বলে বিবেচিত হবে যদি নির্ধারিত ভাড়ায় তারা যাতায়াতের সুযোগ পান। এ বিষয়টি দেখতে ট্রাফিক পুলিশ ও বিআরটিএকে সক্রিয় হতে হবে।  তা না হলে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিক ও চালকদের আবদার মেনে ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত জনভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। ভাড়া বৃদ্ধির সুযোগে তারা কয়েকগুণ বেশি ভাড়া আদায়ের স্বাধীনতা পেয়ে যাবে।  যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া উচিত হবে না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর