সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

রাজনীতি হোক জনগণের জন্য

হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ

রাজনীতি হোক জনগণের জন্য

সরকারের অসহিষ্ণু মনোভাব তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপির সঙ্গে দূরত্ব আরও বাড়িয়ে চলছে। বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নানা মামলাসহ মির্জা ফখরুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম খান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস ও আরও অনেক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা দায়ের এবং সম্প্রতি সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার দণ্ডাদেশসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপির টানাপড়েন বেড়েই চলেছে।  রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন রাজনীতি যে ধারায় চলছে তাতে অংশগ্রহণমূলক রাজনীতির পরিবেশ আরও সঙ্কুচিত হয়ে আসছে। ফলে এককেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থার দিকে দেশ এগোচ্ছে। সম্প্রতি দলীয় ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের যে বিধিবিধান তৈরির কসরত চলছে সেখানেও ঐকমত্যের কোনো চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নির্বাচন কমিশন বিরোধী দলের ওপর নিজেদের সিদ্ধান্ত দৃশ্যত চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। অথচ এরকম জাতীয় একটি ইস্যুতে রাজনৈতিক সংলাপ বা ঐকমত্যের ক্ষেত্র তৈরি হতে পারত। সবাই মিলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিলে সেটি আরও গ্রহণযোগ্য হতো।

দেখা যাচ্ছে সরকার একক সিদ্ধান্তে আরও বেশি অটল এবং সেভাবেই পথ চলছে। দশম সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি কার্যত সেগুলোকে সমর্থন করছে। সরকারের কোনো কোনো ইস্যুতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ নেতিবাচক কথাবার্তা বললেও তার সঠিক প্রতিফলন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। সরকার যতই নিজস্ব স্টাইলে দেশ পরিচালনা করুক না কেন বিতর্ক কিন্তু পিছু ছাড়ছে না। এ মুহূর্তে মহাবিতর্কের সূচনা করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল তথা টিআইবি। টিআইবি বলেছে, ‘বর্তমান সংসদ পুতুল নাচের নাট্যশালা। নিয়ম রক্ষার্থে এ সংসদ চলছে।’ কোরাম সংকটে ৩২ কোটি ৪২ লাখ ৩১ হাজার টাকার অপচয় হয়েছে এ তথ্যও প্রকাশ করেছে তারা। টিআইবির মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক চলমান। কথায় বলে- উচিত কথায় চাচা বেজার। সরকারের কোনো কোনো মন্ত্রী খুবই ক্ষিপ্ত হয়েছেন টিআইবির এ মন্তব্য শুনে। ১৪ দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, টিআইবি ক্ষমা না চাইলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত একতরফা নির্বাচনের পর বর্তমান সংসদ গঠিত হয়। এই সংসদে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ও তাদের অনুসারীরা নেই। নেই সিপিবি, বাসদ, গণফোরামসহ বাম দলগুলোও। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে তারা ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন বর্জন করেছিল। নির্বাচনে ১৫১ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে নজিরবিহীন রেকর্ড সৃষ্টি হয়। টিআইবি তার পর্যবেক্ষণে বলেছে, ‘প্রধান বিরোধী দল’ কর্তৃক সরকারের কার্যক্রমের বিরোধিতার পরিবর্তে স্তুতি এবং সরকারি দলের সিদ্ধান্তের স্বপক্ষে নজিরবিহীন লেজুড়বৃত্তির কারণে সংসদের প্রত্যাশিত কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। গবেষণা প্রতিবেদনটিতে জুন ২০১৪ থেকে আগস্ট ২০১৫ পর্যন্ত সময় অর্থাৎ দশম সংসদের দ্বিতীয় থেকে ষষ্ঠ অধিবেশন পর্যন্ত সময়কে আমলে নেওয়া হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, দশম সংসদের দ্বিতীয়-ষষ্ঠ অধিবেশনে দৈনিক গড়ে ২৬ মিনিট হিসাবে মোট কোরাম সংকট হয়েছে ৪৮ ঘণ্টা ৪১ মিনিট যার অনুমিত অর্থমূল্য প্রায় ৩২ কোটি ৪২ লাখ ৩১ হাজার টাকা। সংবাদ সম্মেলনে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, বর্তমান সংসদ ক্ষমতাসীন দলের একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের ভুবনে পরিণত হয়েছে। আইন প্রণয়নে মোট কার্যদিবসের মাত্র ৬ শতাংশ সময় ব্যয়িত হয়েছে, যেখানে মাত্র ২৯ জন সংসদ সদস্য আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছেন। বর্তমান সংসদ সংসদের বাইরের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার প্রাতিষ্ঠানিক ফোরামে পরিণত হয়েছে, অন্যদিকে কথিত বিরোধী দলের লেজুড়বৃত্তির সংস্কৃতি প্রকট আকার ধারণ করেছে। প্রতিবেদনে সংসদীয় গণতন্ত্র সুদৃঢ় করা, সংসদকে কার্যকর করা ও সর্বোপরি সংসদকে জবাবদিহিতার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে সদস্যদের উপস্থিতি, সংসদে সদস্যদের আচরণ ও অংশগ্রহণ, তথ্য প্রকাশ, সংসদীয় কার্যক্রমে জনগণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি, সংসদীয় কমিটি কার্যকর করাসহ মোট ১২ দফা সুপারিশ উত্থাপন করা হয়।

টিআইবির পর্যবেক্ষণ থেকে বোঝা যাচ্ছে শুধু রাজপথ নয়, জাতীয় সংসদ পর্যন্ত এখন সংসদের বাইরের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার প্রাতিষ্ঠানিক ফোরামে পরিণত হয়েছে। সংসদের বাইরে অবস্থানকারী বিএনপি এ সরকারের প্রধান প্রতিপক্ষ। তাদের প্রতি সরকারের আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। নানা অজুহাতে সরকার কেবলই কঠোর থেকে কঠোরতর হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলার সংখ্যা বেড়েই চলছে। মামলার ভারে এখন কত মানুষ ফেরারি জীবনযাপন করছে তার কোনো হিসাব নেই। কোনো ঘটনায় মূল আসামির পরিবর্তে অজ্ঞাত নামে মামলা দিয়ে সে মামলায় বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ঢালাওভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে। আটক বাণিজ্যও এখন ওপেন সিক্রেট। মফস্বলের থানাগুলোতে এখন এক ধরনের সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। যারা আটকবাণিজ্য করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। মামলার কারণে সাধারণ মানুষের জীবন বিষিয়ে উঠছে। অনেকের পারিবারিক সম্প্রীতি পর্যন্ত ভেঙে পড়েছে। এই হেমন্তে মাঠেঘাটে কাশফুলের শ্বেতশুভ্রতা চোখে পড়লেও সেই শুভ্রতা আমাদের রাজনীতিকে ছুঁতে পারছে না। সব শুভ্রতা হারিয়ে যাচ্ছে কালো মেঘের আড়ালে। কেউ একজন বলেছেন, রাজনীতির এক অন্ধকার যুগ এখন চলছে।

এই অন্ধকার যুগে সংসদের বাইরের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি মহাসংকটের মধ্যে পড়ে অস্তিত্ব বাঁচানোর কঠিন লড়াই করছে। একের পর এক মামলা, গ্রেফতারে বিএনপি জোটের নেতা-কর্মীরা খেই হারিয়ে ফেলতে বসেছে। বিএনপির সিনিয়র নেতা সাদেক হোসেন খোকার ১৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে। সাদেক হোসেন খোকা ভুঁইফোড় কোনো নেতা নন। তার বড় পরিচয় তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পরপরই তিনি মুক্তিযুদ্ধে নাম লিখিয়েছিলেন। বীরউত্তম খালেদ মোশাররফের দুই নম্বর সেক্টরের আওতায় ত্রিপুরার মেলাঘর থেকে গেরিলা প্রশিক্ষণ নিয়ে যেসব যোদ্ধা পাকিস্তানি সৈন্যদের মহাআতঙ্ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন তিনি তাদেরই একজন। ‘হিট অ্যান্ড রান’ এই কৌশল রপ্ত করে তিনি হানাদার বাহিনী কবলিত ঢাকায় প্রবেশ করেছিলেন। এরপর সতীর্থদের সঙ্গে নিয়ে একের এক অপারেশনে অংশ নিয়ে পাকিস্তানি হানাদারদের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলেন। জীবন বাজি রেখে অনেক অপারেশনে তিনি অংশ নেন। দেশের জন্য সাদেক হোসেন খোকার অবদান সত্যিকার অর্থেই অসামান্য। কিন্তু সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা এখন কারাদণ্ডে দণ্ডিত। ক্যান্সারে আক্রান্ত সাবেক মন্ত্রী এবং ঢাকা সিটির সাবেক এই মেয়রকে বিদেশে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

সাদেক হোসেন খোকা ন্যায়বিচার পাননি বলে মন্তব্য করেছেন। রায় শোনার পর তিনি বলেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে দেওয়া রায় রাজনৈতিক এবং প্রহসনমূলক। রাজনীতি থেকে আমাকে বিদায় করতেই সরকারের চাপে আদালত এ রায় প্রদান করেছেন। এ রায় বিচারবিভাগের ইতিহাসে প্রহসন।’ রায় পাওয়ার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমকে তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে প্রথমবার আমাকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর আদালতের নির্দেশনা নিয়ে চিকিৎসার জন্য নিউইয়র্কে অবস্থান করছি, এটা সবার জানা। অথচ এ রায় ঘোষণার সময় আমাকে পলাতক  দেখানো হয়েছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনি।’ বিবিসির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তার কাছে জ্ঞাতআয়বহির্ভূত কোনো সম্পদ নেই। সব সম্পদেরই বৈধতা রয়েছে। তিনি এও বলেন, নিউইয়র্কে তার ক্যান্সার চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থার যাবতীয় তথ্য আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। এরপরও পলাতক দেখিয়ে তার কোনো আইনজীবীকে আদালতে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এটি বিচার বিভাগের ইতিহাসে প্রহসনের বিচার হয়েই থাকবে।

সাদেক হোসেন খোকা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীনই ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি জাতীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। ’৯১ সালে তার কাছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত হলে তিনি লাইমলাইটে উঠে আসেন। তারপর থেকে তিনি বারবার জয়ী হয়েছেন। পেয়েছেন মন্ত্রীর দায়িত্ব। এরপর একই সঙ্গে ২০০২ সালে তিনি ঢাকা সিটি মেয়র হন। কেউ অন্যায় করলে তার যেমন বিচার হওয়া প্রয়োজন তেমনি প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রয়েছে ন্যায়বিচার পাওয়া। কিন্তু সেই ন্যায়বিচার পাওয়ার সুযোগ কতটা রয়েছে তা প্রশ্নাতীত নয়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, জনগণের টাকায় পরিচালিত সংসদ যদি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার প্রাতিষ্ঠানিক ফোরামে পরিণত হয় তাহলে তা জনগণের কাছে গুরুত্ব হারিয়ে ফেলবে। একইভাবে রাষ্ট্রের নাগরিক হয়ে যদি কেউ ন্যায়বিচার না পান তাহলে সেটাও একটা খারাপ উদাহরণ হয়ে থাকবে। বর্তমানে রাজনীতি থেকে প্রতিপক্ষকে দূরে রাখার যে চেষ্টা সেটা নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির নামান্তর। এভাবে প্রতিপক্ষের রাজনীতি নিঃশেষ করা যায় না। এসবের অবসান ঘটিয়ে একটি সুষ্ঠু সমাধানের প্রয়োজন রয়েছে।

দেশে রাজনীতির নামে এখন যা হচ্ছে তাতে করে এক দূরহকালই চলছে। জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে সবাইকে ভাবিয়ে তুলছে। সম্প্রতি স্বনামধন্য লেখক-শিক্ষক-চিন্তাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের পুত্র প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা এবং অন্য তিন ব্লগারকে হত্যা চেষ্টা জনমনে প্রশ্ন এবং ক্ষোভ তৈরি করেছে। ক্ষমতাসীনরা এখন মূল ঘটনা উদ্ঘাটনের চেয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বিষোদগারে ব্যস্ত। যেখানে চরম অসহিষ্ণুতা লক্ষণীয়। বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে ক্লান্ত করতে জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে সব জাতীয় প্রতিষ্ঠানকেই ব্যবহার করা হচ্ছে। যে কথা টিআইবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। আসলে এ অবস্থার অবসান প্রয়োজন। জনগণ সেটাই চায়। এ মুহূর্তে বড় বেশি প্রয়োজন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা তৈরি এবং জবাবদিহিতার জায়গাগুলো নিশ্চিত করা। কিন্তু জবাবদিহিতা যেন কোথাও আর থাকছে না। জবাবদিহিতার দৈন্যতার কারণেই সমাজে নানা অসঙ্গতি তৈরি হচ্ছে। আর তাই পুত্রহারা পিতা বাকরুদ্ধ কণ্ঠে বলে ওঠেন- ‘আমি কোনো বিচার চাই না। যারা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ নিয়ে রাজনীতি করছেন, যারা রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছেন, উভয়পক্ষের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।’ তাই ক্ষমতাসীনদের উচিত রাজনীতিকে সহজ করে দোষারোপের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে সবার অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করা। একই সঙ্গে যারা ক্ষমতার বাইরে রয়েছে তাদেরও শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার আকাক্সক্ষা থেকে বেরিয়ে এসে জনগণের জন্য রাজনীতি করতে হবে। ক্ষমতাসীনদের একটি বিষয় উপলব্ধিতে আনা প্রয়োজন, সেটা হলো- রাজনীতির জায়গাটিকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কঠিন না করা। সবার অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করা। বর্তমান সরকার অনেক ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করেছে যা আমাদের আশাবাদী করে। দেশে খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে, নতুন নতুন কর্মসংস্থানের পথ উন্মুক্ত হচ্ছে। অবকাঠামোগত উন্নয়নও লক্ষণীয়। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দুর্বল করা ভবিষ্যতে কতটা মঙ্গল বয়ে আনবে সেটা ভাবা প্রয়োজন। কারণ রাজনীতির মূল শক্তি জনগণ। এই শক্তি যেদিকে ধাবিত হয় তারাই রাষ্ট্র পরিচালনা করে। তাই জনগণের কথা মাথায় রেখেই এই সময়ে রাজনীতিতে বড় বেশি প্রয়োজন পরমতসহিষ্ণুতা।  ক্ষমতা কখনোই চিরস্থায়ী নয়। ‘আজ ক্ষমতা আছে, কাল নাও থাকতে পারে’- যে কথা সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন এক সময়ের ডাকসাইটের ছাত্রনেতা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

লেখক : চেয়ারম্যান, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি।

[email protected]

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর