মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

সড়কে মানুষ হত্যা বন্ধ হবে কী?

রোবায়েত ফেরদৌস

সড়কে মানুষ হত্যা বন্ধ হবে কী?

গত ২৫ অক্টোবর ব্র্যাক সেন্টারে সড়ক নিরাপত্তার আলোচনায় মূল প্রবন্ধকার ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে ২১ হাজার মানুষ মারা যায়।’ প্রিয় পাঠক, আগের দিনে কলেরা, টাইফয়েড আর ম্যালেরিয়ায় প্রতিদিন ডজন ডজন মানুষ মারা যেত, ওইসব মৃত্যুকে তখন চিহ্নিত করা হতো ‘মহামারী’ হিসেবে; বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে এখন প্রতিদিন মারা যায় ৫৭ জন মানুষ; তবে কি আমরা একে নয়া মহামারী বলব? বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষতি জিডিপির ১.৬%। তবে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপাত্তকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ‘ওটা মনগড়া তথ্য। কোনো অবস্থাতেই প্রতিদিন ৫৭ জন মানুষ সড়কে মারা যেতে পারে না।’ আলোচনার এক ফাঁকে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’-এর ইলিয়াস কাঞ্চনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি আমাকে বলেন, ‘ওই সংখ্যা বছরে ১০ হাজার হবে। ছয়-সাত হাজার দুর্ঘটনার খবর আমরা মিডিয়ায় পাই, বাকিগুলো গণমাধ্যমে আসে না।’ সেটা মেনে নিলেও প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ মার যায় ২৮ জন, এটাও অনেক বড় সংখ্যা, মহামারীর মতোই তো!

দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় আফ্রিকায় আর সবচেয়ে কম ইউরোপে। বিশ্বে সড়ক দুর্ঘটনায় যত মানুষের মৃত্যু হয় তার ৯০% ঘটে নিম্ন ও মধ্যআয়ের দেশে। সিঙ্গাপুরে সড়ক দুর্ঘটনার হার খুবই কম, তাদের লক্ষ্য এ হার শূন্যে নামিয়ে আনা, অর্থাৎ বছরে একটিও দুর্ঘটনা না ঘটানো এবং তারা মনে করে এটি করা সম্ভব। এর মানে সড়ক দুর্ঘটনা কোনো অদৃষ্টবাদী বিষয় নয়, কার্যকর সড়ক নিরাপত্তা কৌশল গ্রহণ করলে দুর্ঘটনার হার কমিয়ে আনা যায়। সড়ক দুর্ঘটনায় যেসব দেশ সাফল্য দেখিয়েছে তার মূলে রয়েছে এ সংক্রান্ত আইন জোরদার ও বাস্তবায়ন করা, সড়ক ও যানবাহন আরও নিরাপদ করা।

তিনটি উদ্বেগ

ক. সড়ক দুর্ঘটনা বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মহামারী রূপ নিয়েছে, এটি যেমন সত্য, বিপরীতে চেষ্টা থাকলে সড়ক দুর্ঘটনাকে যে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় তাও সমান সত্য। গবেষণা বলছে (হোসেন জিল্লুর, ২০১৫), বিশ্বের ৮৮টি দেশ দুর্ঘটনার হার কমাতে সক্ষম হয়েছে এবং ৮৭টি দেশে তা বেড়েছে;

খ. সড়ক পরিবহন বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও দ্রুত বিকাশমান খাত; কিন্তু সড়ক পরিবহন খাতকে আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য যে সময়োপযোগী ও কার্যকর বিধি-বিধান এবং উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার ছিল বাংলাদেশে সেই সক্ষমতায় বিরাট ঘাটতি রয়েছে এবং এ সামর্থ্যরে অভাবই এ খাতের উন্নয়নের পথে সবচেয়ে বড় বাধা।

গ. আরেকটি বড় উদ্বেগের বিষয়, সড়ক পরিবহন নিয়ে নতুন পলিসি, আইন, বিধি-বিধান প্রণীত হয় ঠিকই কিন্তু প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় পরিবহন যাত্রীদের মতামত দেওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না, যাত্রীদের সেবার মানোন্নয়নের বিষয়টি এবং তাদের কণ্ঠস্বর সব সময়ই উপেক্ষিত রয়ে যায়। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) অ্যাক্ট-২০১৫ এবং রোড ট্রান্সপোর্ট অ্যাক্ট (আরটিএ)-২০১৫ নামে সরকার পৃথক দুটি আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে; সেখানেও যাত্রীদের কথা শোনা হচ্ছে না।

যানবাহন ও সড়ক : সংখ্যা ও দৈর্ঘ্য  

বাংলাদেশে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ১৬ লাখ ২৪ হাজার ৮৬২; এর মধ্যে চার-চাকার গাড়ি ও হালকা যান ৫ লাখ ২৯ হাজার ২১৫টি, দ্বি/ত্রি-চাকার মোটরযান ৯ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮২টি, ভারী ট্রাক ৮১ হাজার ৫৬১টি, বাস ৩৮ হাজার ১০১টি; মোট সড়কের দৈর্ঘ্য ২১ হাজার ৩৬৫ কিলোমিটার; এর মধ্যে জাতীয় মহাসড়ক ৩ হাজার ৫৮০ কি.মি., আঞ্চলিক মহাসড়ক ৪ হাজার ২৭৬ কি.মি., জেলা/উপজেলা সড়ক ১৩ হাজার ৫০৯ কি.মি.। (সূত্র : গ্লোবাল স্ট্যাটাস রিপোর্ট অন রোড সেফটি-২০১৩ ও স্ট্যাটিসটিক্যাল ইয়ারবুক-২০১৩)।

সড়ক দুর্ঘটনার ঝোঁক ও প্রবণতা :

গবেষণা রিপোর্টে (হোসেন জিল্লুর, ২০১৫) দুর্ঘটনার শ্রেণিবিন্যাস করা হয়েছে; দেখা যাচ্ছে, সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ‘হিট-অ্যান্ড-রান’ ধরনের অর্থাৎ কোনো যানবাহন দুর্ঘটনা ঘটিয়ে বা কাউকে মেরে দিয়ে পালিয়ে যায়, এর হার মোট দুর্ঘটনার ৪২%; এর পরের ধরনগুলো এরকম : ‘মুখোমুখি সংঘর্ষ’ (১৯%), ‘গাড়ি উল্টে যাওয়া’ (১৩%), ‘পেছন থেকে মেরে দেওয়া’ (৯%), ‘পাশ থেকে ধাক্কা দেওয়া’ (৬%)। সড়ক দুর্ঘটনার যারা শিকার হন তাদের সিংহভাগই পথচারী, মোট ভিকটিমের ৪১%; এর পরে রয়েছে বাস/কারের যাত্রী (১৯%), দ্বি/ত্রি-চাকার চালক ও যাত্রী (১৬%), ট্রাক/বাসের চালক ও যাত্রী (১৪%), সাইকেল আরোহী (৩%)। যারা দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাস (৩৮%), এর পরে রয়েছে ট্রাক (৩১%), মোটরসাইকেল (১২%), কার/জিপ (১১%) ও ত্রি-চাকার মোটরযান (৮%)।

চালকের বৈশিষ্ট্য :

চালকের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ৯৭% চালকের কাছে লাইসেন্স আছে, সেটা বৈধ বা অবৈধ লাইসেন্স হোক; এর মধ্যে ২০% চালক কোনো পরীক্ষা না দিয়েই লাইসেন্স পেয়েছে; ৯২% চালককে ঘুষ দিয়ে লাইসেন্স জোগাড় করতে হয়েছে আর ৫৪% চালককে লাইসেন্স প্রাপ্তিতে দীর্ঘসূত্রতার শিকার হতে হয়েছে। তবে চালকরা প্রায় সবাই সংঘবদ্ধ (৮০%) অর্থাৎ কোনো না কোনো চালক/শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে তারা যুক্ত। এদের বেশিরভাগেরই কোনো আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ নেই, ‘ওস্তাদ-সাগরেদ’-এর মতো সনাতনী পদ্ধতিতে তারা গাড়ি চালানো শিখেছেন। মাত্র ৯% চালকের মাসিক বেতন আছে, বাকিরা ট্রিপ ভিত্তিতে রোজগার করেন, ফলে তাদের ওপর মালিকদের পক্ষ থেকে প্রচণ্ড চাপ থাকে ট্রিপের সংখ্যা বাড়ানোর। কারণ যত বেশি ট্রিপ তত বেশি আয়। গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে যে, ২০% চালকের কাজের চাপ (ওয়ার্ক-লোড) ভীষণ রকম বেশি, সপ্তাহে ৬-৭ দিন এবং দিনে ১৩-১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত গাড়ি চালাতে হয় তাদের। আর দুর্ঘটনা ঘটলে ৪২% চালকেরই কোনো শাস্তি হয় না; বিচারহীনতার এ সংস্কৃতির কারণেই চালকরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।

কেন দুর্ঘটনা ঘটে?

দুর্ঘটনার কারণকে তিন ভাগে দেখানো যেতে পারে। এক. বিধি-বিধান ও পরিচালনার দুর্বলতা : এর মধ্যে আছে ট্রাফিক আইনের যথার্থ প্রয়োগ না হওয়া, দীর্ঘসূত্রতা ও দুর্নীতির কারণে অযোগ্য গাড়ি ও অদক্ষ চালকের লাইসেন্স প্রাপ্তি, সড়কে বিভিন্ন গতির গাড়ি/বাহন যুগপৎ চলাচল, দুর্ঘটনা বা অনিয়মের ক্ষেত্রে বিচারহীনতার সংস্কৃতি, যুগোপযোগী আইন না থাকা, বিদ্যমান আইনে প্রতিকার-প্রতিবিধান-ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা না থাকা, স্থানীয় অর্থনীতির বিকাশের সঙ্গে নিরাপদ সড়কের চাহিদাকে সমন্বয় করতে না পারা ইত্যাদি। দুই. কারিগরি ত্রুটি : এর ভিতরে রয়েছে সড়ক পরিকল্পনা ও নির্মাণে সমস্যা, সড়কে দুর্ঘটনাপ্রবণ ব্ল্যাকস্পট বা ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক থাকা, রোড সিগন্যাল- ডিভাইডার-স্পিডব্রেকার-অ্যাকসেস রোডের সমস্যা। তিন. মানবীয় দুর্বলতা : বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, চালকের ওপর শারীরিক-মানসিক-আর্থিক চাপ, নিরাপদ সড়ক সম্পর্কে সচেতনতার অভাব, পথচারীদের ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল ও আচরণ, সড়কের পাশে দোকান-বাজারসহ ঝুঁকিপূর্ণ কর্মকাণ্ড চালানো ইত্যাদি।

দুর্ঘটনা রোধে করণীয় কী

সড়ক দুর্ঘটনায় যেসব অমূল্য জীবনের হানি হয়, তা কোনো দিন ফিরে পাওয়ার নয়। তাই এটি কমিয়ে আনতে যেসব পদক্ষেপ দ্রুত নেওয়া দরকার তা হলো- সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কঠোর আইন ও শাস্তির বিধান রাখা; কারণ দোষী চালকদের উপযুক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির উদাহরণ থাকলে চালকরা সাবধানে গাড়ি চালাতে বাধ্য। সড়ক দুর্ঘটনায় কেউ মারা গেলে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে মামলা দায়েরের বিধান রাখতে হবে; তা না হলে ড্রাইভাররা সচেতন হবে না এবং অ্যাক্সিডেন্টের সংখ্যা বাড়তে থাকবে। বিআরটিএর এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী টাকার বিনিময়ে অবৈধ লাইসেন্স দেয়, এটি বন্ধ করতে হবে; ১৯৮৩ সালের পুরনো মোটরযান আইনকে আধুনিক, কার্যকরী ও জনবান্ধব করতে হবে; দোষী চালকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিলে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও শ্রমিক নেতাদের প্রত্যক্ষ মদদে তাদের ছাড়িয়ে আনতে পরিবহন সেক্টর এক রকমের জিম্মি করে রাখা হয়। এ জিম্মিদশা থেকে পরিবহন খাতকে মুক্ত করতে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনেক সময় উদাসীন হতে দেখা যায়; তাদের আরও ‘অ্যাকটিভ’ করতে হবে। রোড অ্যাক্সিডেন্ট কমাতে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল, সড়ক ও জনপথ অধিদফতর এবং বিআরটিএর প্রতিরোধ সেলগুলোকে কার্যকর করতে হবে। সারা দেশের ১৪৪টি মারাÍক ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক বা কেন্দ্রের কাজ দ্রুত শুরু করে তা শেষ করতে হবে। কারণ যত দেরিতে এ বাঁকের কাজ শেষ হবে মৃত্যুর মিছিল ততই লম্বা হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। প্রয়োজনে বাঁকগুলো তুলে দিতে হবে। সড়ক-মহাসড়কে নকশাসংক্রান্ত ত্রুটি দ্রুত সারাতে হবে। সারা দেশে গাড়ির ড্রাইভারদের ব্যবহারিক, তাত্ত্বিক ও মনস্তাত্ত্বিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন সড়কে একেবারে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং কেউ এটি চালালে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক জরিমানা ও শাস্তি দিতে হবে। সড়কের পাশে কিংবা সড়কের মধ্যে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বাজার, দোকনপাট, প্রভাবশালী রাজনৈতিক সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের সাউনবোর্ড সর্বস্ব অফিস তুলে দিতে হবে। ট্রাফিক আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটাতে হবে। পথচারীর ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার রোধে দেশব্যাপী সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন ধরনের মিডিয়া ক্যাম্পেইনের ব্যবস্থা করতে হবে। নিষিদ্ধের পরও মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও নসিমন-করিমনের মতো বিপজ্জনক যানবাহন এখনো চলছে; সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে সড়কে এ ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করা খুব জরুরি। সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে ভ্রাম্যমাণ পুলিশের টহল বাড়ানোর পাশাপাশি তাদের প্রো-অ্যাকটিভ করতে হবে। বিআরটিএর জনবল বাড়াতে হবে, প্রতিষ্ঠানটিকে আধুনিক, যুগোপযোগী ও কার্যকর করতে হবে। পুরনো, লক্কড়ঝক্কড় মার্কা ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তা থেকে তুলে নিতে হবে। ফিটনেস ছাড়া কোনো গাড়ি পাওয়া গেলে জরিমানাসহ কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ কমাতে সড়কে প্রয়োজন মতো ‘পাবলিক ট্রান্সপোর্ট’ বা ‘গণপরিবহন’ নামাতে হবে, প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, প্রয়োজনে প্রাইভেট কারে গ্যাস-সুবিধা বাতিল করতে হবে। সারা দেশে সড়ক-মহাসড়কগুলোতে অত্যন্ত ধীর গতিতে চার লেনের কাজ চলছে, এতে বাড়ছে যানজট, ঘটছে দুর্ঘটনা; তাই দ্রুত গতিতে চার লেনের কাজ শেষ করতে হবে।

[তথ্যসূত্র : এক. হোসেন জিল্লুর রহমান, ‘সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আইনগত উদ্যোগ’, পিপিআরসি, ঢাকা; দুই. সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে ২৫ অক্টোবর, ২০১৫ ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীজনদের মতামত]

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়;

[email protected]

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর