রবিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
পাঠক,কলাম

জাল মুদ্রার পাচার রোধ করুন

অপূর্ব আজাদ

পাকিস্তান থেকে আকাশ ও সমুদ্রপথে বাংলাদেশে আসছে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় জাল মুদ্রা। সম্প্রতি এই দুই মাধ্যমে ১৯ কোটিরও বেশি ভারতীয় রুপির জাল মুদ্রা আনার দায়ে দুই পাকিস্তানিসহ ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে জাল মুদ্রার এই চোরাচালানের সঙ্গে জঙ্গি অর্থায়নের সম্পর্ক রয়েছে। জালচক্রের সদস্যরা বাংলাদেশি মুদ্রা জালের সঙ্গে জড়িত এমন সন্দেহও করা হয়। বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আকাশপথে পাঠানো জাল মুদ্রার একাধিক চালান ধরা পড়ার পর এ চক্রের সদস্যরা সমুদ্রপথে জাল বিদেশি মুদ্রার চালান আনছে। শুল্ক গোয়েন্দাসহ আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থা জাল নোটের চালান রোধে সক্রিয় হলেও এর অতি সামান্য অংশই ধরা পড়ে। স্মর্তব্য, গত দুই বছরে পাকিস্তান ও দুবাই থেকে বাংলাদেশে আসা ১৯ কোটি ১৭ লাখ ৭৭ হাজার ভারতীয় জাল রুপির যে বিশাল ৮টি চালান আটক হয়েছে, তার মধ্যে সাতটি আকাশপথে আনা হয়। এ ৭টির মধ্যে ৬টি ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে আটক হয়েছে। একটি চালান আটক হয়েছে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে। পাকিস্তান ও দুবাই থেকে আসা ভারতীয় জাল মুদ্রার এই চালানগুলো পরপর আটক হওয়ার পর সম্ভবত রুট বদল করে পাচারকারী চক্র। সমুদ্রপথে আসা এমনই একটি চালান গত ২০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরে আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। এ সময় ২ কোটি ৭১ লাখ ৭৬ হাজার ৫০০ ভারতীয় জাল রুপিসহ চোরাকারবারি চক্রের ৬ সদস্যকেও আটক করা হয়। সন্দেহ করা হয় এর আগেও সমুদ্রপথে জাল মুদ্রা এসেছে। পাকিস্তান থেকে আসা জাল ভারতীয় মুদ্রা বিপণনে বাংলাদেশের কিছু মুদ্রা চোরাচালানি জড়িত এবং এদের বেশ কয়েকজন ধরাও পড়েছে।

অনুমান করা হয় পাকিস্তান ও দুবাইতে বসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা জালিয়াতচক্র ভারতীয় জাল মুদ্রা তৈরি করছে এবং তা ভারতে পাঠানোর জন্য বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করছে। জঙ্গি অর্থায়নে জাল মুদ্রার ব্যবহার রয়েছে বলে ব্যাপকভাবে সন্দেহ করা হয়।  আমরা আশা করব বিদেশ থেকে জাল মুদ্রার আগমন রোধে সর্বাধিক সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধেও নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।  

সর্বশেষ খবর