মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

উপভূলীয় নৌ চলাচল চুক্তি

বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশকেই লাভবান করবে

বাংলাদেশ ও ভারত বহুল প্রত্যাশিত উপভূলীয় জাহাজ চলাচল পরিচালন চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে। এ চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের নৌবাণিজ্যে পরিবহন খরচ এক-তৃতীয়াংশে নেমে আসবে। আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে নৌপথের ব্যবহার যেমন বাড়বে তেমন দুই দেশ অর্থনৈতিকভাবেও উপকৃত হবে। নতুন চুক্তির ফলে পণ্যবাহী নৌযান ভারতের হলদিয়া, কলকাতা, পান্ডু, করিমগঞ্জ বা শিলঘাট থেকে রওনা হয়ে সরাসরি বঙ্গোপসাগরের পথ ধরে পৌঁছে যাবে বাংলাদেশের আশুগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, মংলা, নারায়ণগঞ্জ ও খুলনা বন্দরে। গত জুনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে এ ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হয়। নৌ চলাচল পরিচালন চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে শিগগিরই এই নতুন রুট খুলে দেওয়া হবে। এতদিন ভারতের সঙ্গে নৌপথে যে বাণিজ্য হতো তাতে পণ্যবাহী জাহাজ এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাতায়াতে ভারত মহাসাগরে সাড়ে তিন হাজার নটিক্যাল মাইলেরও বেশি ঘুরতে হতো। ব্যবহার করতে হতো কলম্বো এবং সিঙ্গাপুর বন্দর। কোস্টাল শিপিং চুক্তির ফলে ওই দূরত্ব প্রায় তিন হাজার নটিক্যাল মাইল কমে ৬২০ নটিক্যাল মাইলে দাঁড়াবে। এতে কোনো পণ্য পরিবহনে আগে যেখানে ৯০ ডলার খরচ হতো এখন সেখানে ৩৫ ডলার খরচ হবে। পরিবহন ব্যয় কমে দাঁড়াবে প্রায় এক-তৃতীয়াংশে। কোস্টাল শিপিং চালু হলে কনটেইনার ও নন কনটেইনার- দুই মাধ্যমে পণ্য পরিবহন করা সম্ভব হবে। চুক্তিতে আশুগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, পানগাঁও এবং চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরকে পোর্ট অব কল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া পানগাঁও থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে চলাচলের জন্য ইতিমধ্যে দুটি জাহাজ তৈরি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের দুটি জাহাজ দুই দেশের উপভূলে চলাচল করবে। উপভূলীয় জাহাজ চলাচল চুক্তির ফলে দুই দেশের বাণিজ্যের এক বড় অংশ নৌপথে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। এর ফলে স্থলপথের ওপর চাপ কিছুটা হলেও কমবে। নৌপথে পণ্য পরিবহন খরচ কম হওয়ায় আমদানি ও রপ্তানিকারকরা তাতে উৎসাহী হবে বলে আশা করা যায়। পরিবহন খরচ হ্রাস পেলে দুই দেশের ভোক্তারা আগের চেয়ে অপেক্ষাকৃত কম দামে পণ্য কেনার সুযোগ পাবেন। দুই দেশের বাণিজ্য এর ফলে আরও সম্প্রসারিত হবে বলেও আশা করা হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর