রবিবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

এমআরপি বিড়ম্বনা

প্রবাসীদের দুর্ভোগ লাঘবে উদ্যোগ নিন

দেশের প্রায় সাড়ে ১২ লাখ প্রবাসী ২৩ নভেম্বরের পর থেকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বা এমআরপি না থাকায় ‘জিম্মি’ অবস্থার শিকার হবেন। ওই তারিখের পর দুনিয়ার কোথাও আর হাতে লেখা পাসপোর্টের মাধ্যমে বিমান ভ্রমণ করা যাবে না। ফলে ওইসব প্রবাসীর পক্ষে দেশে আসা যেমন কঠিন হয়ে পড়বে তেমনি বিদেশেও বিমান যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হবে। স্মর্তব্য, ২০১০ সালে সরকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে সব বাংলাদেশি নাগরিককে এমআরপি দেওয়ার জন্য প্রকল্প হাতে নেয়। গত ৯ নভেম্বর পর্যন্ত দূতাবাসগুলো থেকে ২১ লাখ ১৫ হাজার ৯০১টি এমআরপি ইস্যু করা হয়েছে। আউটসোর্সিং কোম্পানি ইস্যু করেছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ২২২টি। এ ছাড়া মিশনগুলোর প্রায় ৫৪ হাজার ৫৪০টি পাসপোর্ট বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরে মুদ্রণের অপেক্ষায় রয়েছে। সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত ১১ লাখ ৩২ হাজার ৩৩৭ জন প্রবাসীকে এমআরপি দেওয়া সম্ভব হয়নি। এমআরপি নিয়ে সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তা ভর করেছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়ায়। সৌদি আরবে ১২ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশিকে এমআরপি দেওয়ার টার্গেট নির্ধারণ করা হলেও সাড়ে ৬ লাখ ইস্যু করা হয়েছে। বাকি এখনো ৫ লাখের বেশি। সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৮ লাখ এমআরপির বিপরীতে প্রায় ৭ লাখ দেওয়া হয়েছে, ১ লাখ বাকি। মালয়েশিয়ায় ৫ লাখ এমআরপির মধ্যে আড়াই লাখের কাছাকাছি দেওয়া সম্ভব হয়েছে, বাকি আড়াই লাখ। বিশ্বের অন্য দেশগুলোয় দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ১০ লাখের মধ্যে প্রায় ৭ লাখ দেওয়া হয়েছে। এখনো বাকি প্রায় ৩ লাখ। মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের জন্য আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের (আইকাও) সঙ্গে ১৯৯৮ সালে চুক্তি করে বাংলাদেশ। দীর্ঘ এক যুগ কুম্ভকর্ণের ঘুমে থাকার পর ২০১০ সালের ১ এপ্রিল থেকে শুরু করা হয় এমআরপি দেওয়ার প্রকল্প। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব প্রবাসীকে এমআরপি দেওয়া সম্ভব হবে না বিধায় আইকাওয়ের কাছে সময়সীমা তিন বছর বাড়ানোর আবেদন করা হয়।  কিন্তু সংস্থাটি সে আবেদনে সাড়া না দেওয়ায় বিপুলসংখ্যক প্রবাসী অস্বস্তিকর অবস্থার শিকার হবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আমরা আশা করব প্রবাসীদের হাতে এমআরপি দ্রুত পৌঁছে দিতে আউট সোর্সিং কোম্পানিগুলোকে কাজে লাগানোসহ সম্ভাব্য সব চেষ্টাই চালানো হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর