সোমবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

শিরক সবচেয়ে জঘন্য কবিরা গুনাহ

মাওলানা মুহম্মাদ সাহেব আলী

শিরক হলো সবচেয়ে জঘন্য কবিরা গুনাহ। আল্লাহর সঙ্গে কাউকে অংশীদার করার নাম হলো শিরক। এটি এমন এক গুনাহ যা আল্লাহ কখনো ক্ষমা করেন না। যারা শিরক করে তারা অনন্তকাল ধরে জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করবে। আল্লাহ সব ক্ষমতার অধিকারী। আল্লাহর এ ক্ষমতা নিরঙ্কুশ এবং সব ধরনের সংশয়ের ঊর্ধ্বে। আল্লাহর সঙ্গে কাউকে তুলনা করা কিংবা সমপর্যায়ভুক্ত করাকে শিরক বলে। শিরক দুই ধরনের। শিরক-ই-জাত এবং শিরক-ই-সিফাত। সর্বশক্তিমান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ক্ষমতার সঙ্গে শিরক করা কিংবা তাকে ছাড়া আর কারোর উপাসনা করাকে শিরক-ই-জাত বলে। অন্যদিকে শিরক-ই-সিফাত হলো- আল্লাহ যেসব গুণাবলির অধিকারী তা অন্য কারও ওপর আরোপ করা।

আল্লাহ সব ক্ষমতার মালিক। কেউ যদি মনে করে আল্লাহ ছাড়া আর কেউ ক্ষমতার মালিক, কিংবা আর কেউ ক্ষমতার অধিকারী, তবে তা শিরকের নামান্তর। কাউকে আল্লাহর পুত্র ভাবা কিংবা অংশ ভাবাও শিরক। আল্লাহই সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা, তিনিই মানুষসহ সব প্রাণীর রিজিকদাতা, তিনিই একমাত্র হায়াতদাতা, জন্ম-মৃত্যুর সিদ্ধান্তও আসে আল্লাহর কাছ থেকে, পরকালের বিচারকও তিনি। যারা পুণ্যবান তিনি তাদের পরকালে পুরস্কৃত করবেন। পাপীদের শাস্তির ব্যবস্থাও করবেন তিনি। আল্লাহর এই সর্বময় ক্ষমতায় সংশয়ের সুযোগ নেই। আল্লাহর বদলে কেউ পীর আউলিয়া ফকির দরবেশ কিংবা অন্য কারও ওপর ভরসা করলে সেটি হবে শিরক এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ড কবিরা গুনাহ বলে বিবেচিত হয়।

পবিত্র কোরআনের সূরা নিসার ৪৮ নাম্বার আয়াতে ইরশাদ করা হয়েছে- ‘আল্লাহ তাঁর সঙ্গে শরিক করার মতো অপরাধ ক্ষমা করেন না। এ ছাড়া অন্যান্য অপরাধের জন্য যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। আল্লাহর সঙ্গে যে শরিক করে সে মহাপাপ করে।’  শিরক এমন এক মহাপাপ যা ক্ষমার অযোগ্য এবং পবিত্র কোরআনে নবী ও ইমানদাররা যাতে শিরককারীদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা না করে সে বিষয়ে বারণ করা হয়েছে। তারা যে জাহান্নামী সে বিষয়টিও স্পষ্ট করা হয়েছে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে শিরক থেকে দূরে থাকার তৌফিক দান করুন।

লেখক : ইসলামী গবেষক।

সর্বশেষ খবর