সোমবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

আইএসবিরোধী লড়াই

নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অভিনন্দনযোগ্য

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে একটি কড়া প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। এ কড়া প্রস্তাবে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা’ গ্রহণের বৈধতা দেওয়া হয়েছে। ফ্রান্সের দেওয়া খসড়া প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হওয়ায় তা জঙ্গিবাদবিরোধী লড়াইয়ে নতুন মাত্রা সংযোজন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। জাতিসংঘে দেওয়া প্রস্তাব গৃহীত হওয়ায় ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, এ প্রস্তাব আইএস নির্মূলে বিশ্বের অন্য দেশগুলোকেও সক্রিয় করে তুলবে। প্যারিসে গত ১৩ নভেম্বরের হামলার দায় স্বীকার করে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস। ওই হামলায় ১৩০ জন নিহত হয়। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লরাঁ ফাবিয়াস বলেছেন, এখন এ লড়াইয়ের সুনির্দিষ্ট পথ খুঁজে বের করতে হবে। সেটা সামরিক উপায়ে হতে পারে অথবা রাজনৈতিকভাবেও। তিনি জঙ্গিবাদের অর্থায়নের বিরুদ্ধে লড়াই শুরুর তাগিদও দিয়েছেন। কূটনীতিকদের মতে, আইএসবিরোধী প্রচারে এ প্রস্তাব রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, আইএস নামের মৃত্যুদূতদের বিরুদ্ধে বিশ্ব ঐক্যবদ্ধ। আইএস আল কায়েদাসহ জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সর্বসম্মত প্রস্তাবকে আশাজাগানিয়া ঘটনা বলে অভিহিত করা যায়। সবারই জানা বিশ্ব আজ জঙ্গিবাদ নামের যে দানবের মোকাবিলা করছে পশ্চিমা দেশগুলোই তার জন্মদাতা। স্নায়ুযুদ্ধকালে সোভিয়েত ইউনিয়নসহ সমাজবাদী দেশগুলোকে বাঁকা পথে মোকাবিলা করতে তারাই ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তাদের ব্রেইন চাইল্ড জঙ্গিবাদীরা স্রষ্টাদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠায় তারা তাকে ঠেকাতে বিশ্বজনীন ঐক্যের তাগিদ দিচ্ছেন। এ জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকেও ব্যবহার করা হচ্ছে।  তারপরও আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলোর এই নয়া অবস্থানকে স্বাগত জানাই এবং আশা করতে চাই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব জঙ্গিবাদের হাত থেকে বিশ্ব সমাজকে রেহাই দেওয়ার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে। তবে এ সাফল্য পেতে হলে পশ্চিমা জগৎকে দুধ ও তামাক একসঙ্গে খাওয়ার ভণ্ডামি থেকেও দূরে থাকতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর